আজকের রাতে ঘুমকে দিয়েছি ছুটি,
এদিক ওদিক, এপাশ ওপাশ কিছু যে খুঁজে ফিরছি,
জানলা দিয়ে শরত পুর্ণিমার চাঁদ উপহাসের হাসি হাসছে-
ডানা ঝাপটানো রাতজাগা প্যাঁচাটা আড়চোখে দেখে উড়ে গেল
পৌষের প্রথম শীতের শিরশিরানি জানান দেয় আমি একা।
হঠাত হয়তো বেজে উঠ্ল মোবাইলের পরিচিত রিংটোন,
একটি হাসির রেখা শুধু খেলে যায় ক্লান্ত মুখের প্রতিটি ভাঁজে-
হায়! পরিচিত সেই সুরের বদলে ভেসে আসে
চটুল সঙ্গীতের কলি, বিধাতা হয়ে যায় রসিক খুড়ো,
মনের গীটারে ঝঙ্কার তোলে-ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো প্রভু।
একটি স্বপ্ন কখনো কি কেউ ধার দিতে পারে,
বর্তমানের বাস্তবকে কখনো কেউ কি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে
অতীতের সেই স্বপ্নময় বেলাভুমিতে,
যেখানে ফেলে আসা সেই প্রতিটি মুহুর্ত হয়তো
আজও আমায় পৌছে দেয় আমার স্বপ্নময় ভবিষ্যতের দরজায়।
সে, আমি ও আবর্তের ঘুর্ণি-
মাঝে খেলে বেড়ায় কতো ছায়া আবছায়া,
মন ছুটে চলে যেতে চায় ছিন্ন করে সব বাঁধন-
বিধাতার অট্টহাস্য ভেসে আসে ধানক্ষেতের শেয়ালের ডাকে,
হাটু গেড়ে বসে হাতজোড়ে প্রার্থনা সেই অসীমের কাছে-
ফিরিয়ে দাও অবিশ্বাসীর মনে ভরসার ছোঁয়া,
শুধু সে আমি আর আমাদের ছায়া, চিরসঙ্গী।