পারছি না কিছুতেই একটি হাসিকে ভাগ করে নিতে,
সঙ্ক্রামক হাসিটা আমার ঘুমের মাঝেও এঁকে দেয় দুটো রেখা,
সুর্যোদয়ের আকাশটাও আমায় দেখে সেভাবেই হাসে-
চাদের স্মিত হাসিটাও আজকাল আমায় এক্ভাবে হাত্ছানি দেয়,
আমার জানলার পাশের গাছে বসা সবুজ পাখীর চোখেও একই হাসি,
গাড়ীর জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি চলন্ত গাছের মুখেও সেই হাসি-
সমুদ্রের ঢেউয়ের মাথায় নেচে ওঠা সাদা ফেনার সেই এক হাসি,
নদীর  ঢেউয়ের মাথায় বসা সাদা সেই বকের পাখায় আঁকা সেই হাসি-
সেই হাসিটা যেটা আজ যেন ইতিহাসের প্রথম পাতা থেকে আমায় করেছে আনমনা।
বদলে কেন যায়নি সেই হাসিটা যেটা ছিল আমার শৈশবের ভালোলাগা
আজও কেন একইভাবে হাসিটা আমায় করে পাগল-
যা ছিল আমার যৌবনের ক্ষণিকের পরম প্রাপ্তি,
হঠাত সেদিন ফিরে পেলাম সেই হাসির ঝলক -
কিন্তু কিছুতেই পারছি না ঐ হাসিটাকে ভাগ করে নিতে কারো সাথে,
আজও সন্ধ্যের অস্তমান সুর্য আমায় দেখে একই ভাবে উঠ্ল হেসে,
উড়ন্ত গৃহমুখী পাখিটা আমায় দেখে এক্ভাবে হেসে মনে পড়িয়ে দিল,
হাসিটা কখনো ভেসে ওঠে শ্বেত শুভ্র ছাতের দেওয়ালে ,
কখনো বা ভেসে ওঠে ল্যাপটপের পর্দায় আমার পানে চেয়ে,
কখনো বা ভেসে আসে ঠিক যেন সাগরপাড়ের উন্মাদ হাওয়ার হাত ধরে,
কখনো বা ভেসে ওঠে আমার বুকের ঢেউয়ের মাথায় ,
পারছি না কিছুতেই একটি হাসিকে ভাগ করে নিতে।