আবার ও মুচকি হেসে উঠ্ল ফ্রেমের ভেতর থেকে,
আমায় রাগানোর  ভঙ্গীতে চোখের তারা নড়িয়ে যেন বলে ওঠে-
তুই একটা পাগল , কিছুতেই আসবে না তোর কোন পরিবর্তন,
স্বপ্ন ভাঙ্গা চোখে দেখি ও তখন ও  তাকিয়ে একই ভাবে সেই হাসি নিয়ে,
এই হাসির অনুরণন আমার রক্তস্রোতে আজ ও তোলে মাতাল ঝড়-
আমার প্রতিটি রোমকূপে উত্তেজনার উচ্ছ্বাস জাগে,
তাই সেই ছবিটা আমায় ঘুমোতে দেবে না আজ রাতে।
এক ছবিতে সে  পাশের ডেসকে বসে কাজ বোঝানর ভঙ্গী-
অন্য আরেকখানা ঠিক যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে  আসা ললনা,
কোন একটাতে সে শুধু প্রশ্রয়ের হাসিতে উসকে দেওয়া ভালোলাগা-
আবার হয়তো কখনো প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া শকুন্তলা,
সবই আমার ভাব্নার চোরাস্রোতকে দেয় বহমান উচ্ছ্বলতা।
আমার দিনরাতের আবর্তনে ঘুরে ফিরে আসে এক্গুচ্ছ ছবি,
কখনো সে আমায় দেখা দেয় বিনুনি দোলানো কিশোরীর রূপে-
কখনো আবার সেই সদ্য যৌবনের প্রথম বিনম্রতার মায়াভরা চোখ নিয়ে,
কখনো সম্প্রদানের আগের কৌতুহলভরা চোখে বিয়ের কনে
কোথাও আবার বন্ধুপরিবৃত কলেজের ছাত্রী,
আজ পরিচিত এক পরিপুর্ণ নারী স্নিগ্ধতার প্রতিমুর্তি।
আজ তারে আমি জানি বহুরূপে মায়ের মমতায়,
স্ত্রীয়ের দায়িত্বপূর্ণ ভুমিকায়, কখন বা সংসারের হাল,
তবু কেন যেন আজ ও সেই ছবি আমার কিশোরী মানসীর।