আজ ও স্বপ্নে  সে এসেছিল নিজের মত করে সেজে,
বাগানের নতুন শীতের সকালের ইনকার উজ্জ্বলতা নিয়ে,
দুপুর সুর্যের উষ্ণতা ভরা ফানুসের মতো-
দু চোখের তারায়  ছিল অবুঝ সরলতা ,
মুখের হাসিতে ছিল দুষ্টুমির ইশারা,
এলোচুলে হালকা চালে চলে গেল সামনে দিয়ে
ছড়িয়ে বন্যলতার ছট্ফটানির ঢেউ-
ভেসে এলো প্রথম সকালের শিশির ভেজা ঘাসের গন্ধ।
আজ ও স্বপ্নে সে এসেছিল নিজের মত করে সেজে,
আমার আমিটাকে বন্যতার জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে,
সৃষ্টি রহস্যের গভীর অনুধাবন নিয়ে ,
ভিজে চুলের ছোয়ায় ছিল বিদ্যুতের শিহরণ,
আলিঙ্গনের গভীরতায় ছিল উচ্ছ্বাসের আভরণ,
ঠোঁটের প্রতিটি ছোয়ায় লেখা ছিল নিয়তির অঙ্গীকার,
আমার অস্তিত্ব কে নাড়িয়ে দিয়ে যায় সেই পরী।
আজ ও স্বপ্নে  সে এসেছিল নিজের মত করে সেজে,
জাগিয়ে দিয়ে আমার যৌবনের জ্বলে যাওয়া দ্বীপখানি-
সন্ধ্যের আলোর নম্রতাকে হার মানিয়ে হেসে ওঠে,
বাঘিণীর ক্ষিপ্রতায় হার মানিয়ে মত্ত হাতির সুরশক্তিকে,
ভরিয়ে দিয়ে জীবনের করপুট অঞ্জলীভর ভালবাসার ঝর্নাবারিতে,
এলোচুলের বন্যায় ঢেকে দিয়ে আমার চোখমুখ,
শুধু বলে গেল কিছুতেই দেব না ভুলতে আমায়।