কখনো আমার মনে হয় আমি পার্কের মাঝে দাড়ানো একটি স্ট্যাচু,
হয়তো বন্ধক  দিয়েছি আমার সব ভাললাগার খুঁটিনাটি,
আকাশের দিকে আধবোজা চোখে তাকিয়ে
পৃথিবীর প্রতি ঔদাসিন্য নিয়ে
দুপায়ে দাড়িয়ে আছি, কি এসে দাড়ালো আমার ছায়ায়-
কে আড়চোখে তাকিয়ে মুচকি হেসে পাশ কাটিয়ে গেল-
কখন বা হয়তো উড়ন্ত পাখী কাঁধে এসে বসে কাজ সেরে নেয়,
বয়েই গেল পৃথিবীর গতানুগতিকতায়।
কখন যে জীবনের শুরুতে সে এসে দাড়িয়েছিল আমার ছায়ায়-
হাসিমুখে তুলেছিল কলরোল সেই কৈশোর প্রাণে,
কিন্তু আমি তো নিস্প্রাণ অবয়ব ভাবলেশশুন্য অপ্রাণ-
জবাবে ছিল না উচ্ছ্বাসের অভিব্যাক্তি,
ছিল না আবেগের কোন ঢল-
তাই তো না বুঝে নিস্প্রাণের আকুলতা
মিষ্টি হেসে খানিক বসে নাড়িয়ে দিয়ে আমার মুল-
কখন যে সে হারিয়ে গেল ভীড়ের মাঝে ।
আজও বহুবর্ষ বাদে চিনে নিয়ে সেই রূপ রস গন্ধ
নড়ে ওঠে নিস্প্রাণ স্ট্যাচু,
যখন সে এসে দাড়ায় সেই হাসিনিয়ে আমার ছায়ায়,
রক্তস্রোতে ওঠে সেই পরিচিত কোলাহল,
প্রাণের ছোয়ায় উঠ্ল জেগে পার্কের মাঝে দাড়ান সেই স্ট্যাচু আমি।