মেঘকেটে ভেসে আসা সুর্যের হাসিটাকে মেখে নিলাম গায়ে-
নীলাআকাশের গায়ে উড়ে যাওয়া সাদা বকের পাখায় আবার একে দিলাম নিজের আঁকিবুকি,
নিজের মনে হেসে উঠে আশার দ্বীপ দিলেম জ্বেলে,
যদি আমার কবিতার প্রলাপ সে পড়ে নেয় বকের পাখায়,
ভাবতে ভাবতে চাদ উঁকি মেরে মুচকি হেসে হাত্ছানি দিল-
পরমুহুর্তে ভেসে আসা দুরাভাসে সেই চিরআকাঙ্খিত স্বর,
দিনের শুরু হলো ঝঙ্কৃত শব্দবিন্দু দিয়ে,
ভাললাগার আমেজ ভাসিয়ে নিয়ে গেল আনন্দ সমুদ্রে,
শত কাজের মাঝে শুধু উকি মেরে যায় সেই দৃষ্টি-
আমার শব্দ ঝর্ণা উত্সমুখ থেকে বহমানতা পায় তার ছোঁয়ায়।
মাঝরাতের নির্জনতা নিয়ে আসে একরাশ সুখ,
নিজের ভাবনাকে দৃশ্যত দিয়ে দি লাগামছাড়া অধিকার,
ঠিক তখন সে উড়ে যায় সেই আরব সাগরের তীরে ,
সেই বেলাভুমির হাতছানি শুধু ধুয়ে মুছে দেয় ক্লান্তির গ্লানি,
মনের কোনায় জমে থাকা কৈশোরের স্মৃতি বর্তমানকে আড়াল করে
শুধু তোলপাড় করে প্রতিটি পলের অস্তিত্বকে।
কেন তুমি আজও বেঁচে আছো প্রতিটি মুহুর্তে আমার?
কেন দিনের কয়েকটি মুহুর্ত শুধু দিয়ে যায় দিনের আশা?
কেন সেই হাসি মন কেমন করা এমনি এখনো?
আমার অস্তিত্ব বেঁচে  থাকুক হাজার বছর ধরে আকড়ে সেই স্মৃতি।