এক ঝলক সাইক্লোনের হাওয়া ঝাপটা মেরে যায়,
এক ঝলক ঠান্ডা নদীর হাওয়া হালকা করে নাক চোখ মুখ ছুয়ে যায়-
সমুদ্রপাড়ের পাগলা হাওয়া আমায় মাতাল করে,
কখনো আবার পাইন গাছের পাতায় লুকোচুরি খেলা পাহাড়ী হাওয়া আমায় উদাস করে,
আমার ইচ্ছে করে আমি মাতাল হাওয়া মেখে সুখস্নান  করি।


সকালের সুর্য আমায় মনে পড়ায় এক টুকরো হাসি,
দুপুর সুর্যের গনগনে ভাব আমায় দেখায় সেই ক্পট ক্রোধের আঁখি,
সুর্যাস্তের লালিমা শুধু ভেসে ওঠে  কিশোরীর লাজুক গালে,
চাঁদের হাসিতে আছে ম্লান এক ভালোলাগার ছোঁয়া-
কিন্তু আমার দেখা তাঁর সেই হাসিটা আসলে হাসির সেরা।


সমাজ আমায় শিখিয়েছে মনের কথা মনে চেপে রেখে সভ্য সমাজে চলতে,
সজন শিখিয়েছে কিভাবে গলা চেপে ধরতে হয় নিজের ইচ্ছে কে,
পারিবারিক ঐতিহ্য বলেছে তুমি বলিপ্রদত্ত সমাজের জন্য,
আজ আমি কি সুন্দর ভাবে মানিয়ে নিয়েছি কলুর বলদের মতো,
তাই সকলের ইচ্ছে আমার ইচ্ছে , সমাজের ভালোলাগা আমার ভাললাগা,
আমার পরিচয় সভ্য ভদ্র সমাজবদ্ধ জীব ।


মাঝরাতের মানসিক সাইক্লোন আমায় জ্বালায় তাঁকে ঘুম থেকে জাগিয়ে ওঠার অসামাজিক ইচ্ছে নিয়ে,
কিন্তু সমাজের আমি গলা চেপে ধরে বলে
তোমার উচিত ঈশ্বরের নাম নিয়ে ঘুমের রাজ্যে পাড়ি দেওয়া,
হা হা হা হায় ঈশ্বর তোমার কি সুন্দর সৃষ্টির খেলা।