কফি হাউস থেকে গঙ্গার হাওয়ায় লাভার্স লেন -
নস্টালজিয়া ভাসিয়ে নিয়ে গেল ওভালের ধারে বট্গাছের তলায়,
ফিরে পাওয়া যায়না জেনেও আকুতি মনের  চেপে রাখি,
এদিক ওদিক তাকিয়ে খুজে বেড়াই সেই হারিয়ে যাওয়া বক্সিং রিং-
কানে এল সেই শেষের দিনের মাঝরাতের বিচ্ছেদের ছিন্ন সুর,
আমরা সবাই যে সেদিন শেষবেলায় মিলেছিলাম শেষ কোরাস গাইতে-
কেন ফিরে পাওয়া যায়না সেই মুহুর্তগুলোর ভ্গ্নাংশ আজ?
কত গান কত কথা কত শত কোলাহল ক্যান্টিনের টেবিলে তবলার বোল-
রাতের শো দেখে ফেরা ধর্মতলার ্বাস থেকে পাড়া জাগিয়ে নামা,
লোডশেডিং এর অন্ধকারে শব্দযুদ্ধ হস্টেলের এছাদ ওছাদের মাঝে-
পরীক্ষার অজুহাতে মাঝরাতে খেলতে নামা ভলিবল যুদ্ধে,
সরস্বতী পুজোর রাতের সেই ভাং খাওয়া মত্ত হাসির জানলা ঝোলা-
কেন ফিরে পাওয়া যায়না সেই মুহুর্তগুলোর ভ্গ্নাংশ আজ?
রাতজাগা ছাত্র নির্বাচনের কালিমাখা হাতের পোস্টার লেখা,
এক বিড়ি ভাগ করে খেয়ে দুই প্রতিযোগীর দুরাস্তায় চলে যাওয়া-
দিনরাত এক করে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে বার্ষিক সমারোহের যোগাড়ের মাঝে হুল্লোর,
কখনো রাতের নেশায় ভগ্ন প্রেমের বিষাদ সুরের কাহিনীর নির্বাক শ্রোতা,
পরীক্ষার আগের রাতের সেই ফটোকপি ভাগ করে সময়ের সাথে দৌড়ে প্রস্তুতি-
পুজোর ছুটির সাথে পিঠে ঝোলা নিয়ে বেরনো শিল্পদর্শনের নামে ভারত ভ্রমণ,
রাতজাগা অপেক্ষা রেলগাড়ীর কামরায় বিবশ প্রেমের সাক্ষী হওয়ার -
কেন ফিরে পাওয়া যায়না সেই মুহুর্তগুলোর ভ্গ্নাংশ আজ?
বটানিকাল উদ্দ্যানের সান্ধ্য ভ্রমণের পেছনে কাজ করা সন্দিগ্ধ উত্সাহ,
মাঝরাতে ক্যান্টিনের তালা ভেঙ্গে বনভোজনের আয়োজন-
ক্যাম্পাসের বিয়েতে রবাহুতের রূপে ম্যাগাজিনের উপহার দানে ভোজনের অধিকার,
লর্ডসের ধারে ফুটবল ম্যাচ শেষে দেওয়ালে বসা আড্ডা-
পরীক্ষার হলে সিনিয়র দিদির চুর্ণীর আড়ালে টোকাটুকি দেখে মুচকি হাসি-
ইতেশদার নোট ধার করে টপকে যাওয়া প্রতিযোগীতা,
হস্টেলের রান্নাঘরের চৌবাচ্চায় স্নান করে দৌড়নো ইন্টারভিউ দিতে-
কেন ফিরে পাওয়া যায়না সেই মুহুর্তগুলোর ভ্গ্নাংশ আজ?