অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে ব্যাস্ত ওদের-
    কখনো কি জেনেছ কোথায় জড়ানো সমস্যা ,
কাঁচের স্বর্গ থেকে নেমে এসে জানতে চেয়েছ কি তুমি
   কোন ভাষায় লেখা আছে সেই বারোমাস্যা?
ভোরের সুর্যকে সাক্ষী রেখে মাঠে যায় চলে-
  শুকনো রুটির কামড়ে দিনের শুরুতে কাঠিন্যের দিশা,
রাতের আঁধারে ফেরার পথে বাজার পরে
  কিন্তু সব্জী কেনার পয়সায় চলে হাড়িয়ার নেশা।
দিনের কঠিন পরিশ্রমে গড়ে ওঠে বহুতল আশা
   রাতের আশ্রয় তার তরে বাধা সেই এক্চালা -
আয়করের চিন্তা নেই কোন রাতের ঘুমে  কুম্ভকর্ণ
  রাত জেগে বসে দেখে পরিজন সাথে যাত্রার পালা।
ভবিষ্যতের রঙ্গীন স্বপ্নে কখনো হয় না মশগুল
  দিনের বাঁচাটা শুধু বর্তমানের জন্যই বাঁচা-
মুদ্রাস্ফীতির নেই কোন মানে তার কাছে
  শুধু এক মুঠো হাসি নিয়ে ঘিরে থাকা কচিকাঁচা।
মনের আগুন চেপে রেখে পারে না তারা হাসতে মেকী
  ভদ্রতার মুখোশ পড়ে চালায় না ছুরি ,
দোকানের বাকী মেটাতে না পেরে বেঁচে ঘটি বাটি
  পেটের খোঁজে তাই পরিজন ছেড়ে দেয় দুরদেশে পাড়ি।
সভ্যতার মানদন্ডে মেপে তুমি কখনো পাবে না ওদের মাপ
  শুধু অবাক হয়ে ভাববে বসে কোথায় লুকনো সুখের চাবি-
আমাদের পৃথিবীর বাইরে রাখা দুনিয়ায় লুকনো এক
পৃথিবী যেখানে তোমার সব আশা ভরসা খাচ্ছে খাবি।
চলো নেমে যাই মাটির কাছে তাদের মনের মাঝে
হয়তো খুঁজে পাবে লুকিয়ে রাখা সোনার খনি-
দুঃখ বোধের বন্ধন ছেড়ে সুখের খোঁজে
  কুড়িয়ে নিতে সেথায় ছড়িয়ে রাখা মুক্তমণি।