জীবনের স্বপ্নে ছিল ও মশগুল-
সকাল থেকে রাতের লড়াই কেড়ে নিতে পারেনি জীবনের রং,
জীবিকার জোগাড়ের সাথে ছিল ভবিষ্যতের স্বপ্নের মিশেল-
হঠাত জীবনের  একটি কালো মেঘলা দিনে নেমে এল অমাবস্যার  রাত,
কাজের শেষে খুশীর হাওয়ায় ভর করে হাতে হাত দিয়ে প্রেমিকের সাথে
দাড়িয়ে অপেক্ষায়-
লাল বাসের দরজা খুলে এসে দাড়াল একরাশ ধুলো উড়িয়ে রাস্তার ধারে,
হাসিমুখে কিছু জানোয়ার মানুশের মুখোশে জানায় সাদরে আমন্ত্রন-
দুনিয়ার খেয়াল হারানো পায়রা দুটো গুনগুনিয়ে উঠে পড়ে গন্তব্যের দিশায়,
হায় পৃথিবীর সব হৃদয়হীন নেকড়েরা নখের আচরে দাঁতের কামড়ে
পুর্ণিমার চাঁদের মুখে ঢেকে দিয়ে নামিয়ে এনেছে অমাবস্যার অন্ধকার-
নপুংশকের দল ভুলে গিয়ে মায়ের জঠরের দেনা-
লালসার আগুনে জ্বালিয়ে দিল সেই স্বপ্নের খেলাঘর,
দুনিয়ার বুকে লেপে দিয়ে লজ্জার কালি
মনুষ্যতের বুকে টেনে নিয়ে অভিশাপ,্লালমুখো নেকড়েরা
দাতে ঠোঁটে মেখে রক্তের ছোপ
নৃশংসতার অমরত্বে আঘাতের ভারে জর্জরিত কোমল প্রাণ আজ হাসপাতালের বিছানায়-
পৃথিবীর পৌরুষ আজ লজ্জায় মাথা নত শতকোটি মায়েদের সনে,
দেশজুড়ে ওঠা মানব শমন অপরাধীদের দেয় চরম শাস্তি-
হায় ঈশ্বর কেন তুমি আজ ও জন্ম দাও এ সুন্দর পৃথিবীতে নরপশুদের -
হয়তো তোমার মাথাও আজ লজ্জায় নত পৃথিবীর কাছে সৃষ্টিকর্তার রূপে।
বয়েএল সে সংবাদ ও চলে গেছে নতমুখে পৃথিবীর কাটিয়ে মায়া-
শুধু রেখে গেছে মানব জাতির তরে একরাশ লজ্জা।