আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি,
জীবনের বালুচরের অন্ত : সলিলা ফল্গুধারা-
কখনো দুর হতে নজরে আশা হাসিমুখ ধ্রুবতারা,
কখনও বা  হঠাত ঘুমের মাঝে ভেসে ওঠা স্বপ্নবালিকা-
কখন ও আবার দুরাভাসে বয়ে আনা সুগন্ধের ধারা।
আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি,
না পাওয়া দুঃখ বিলাসী মনের ছায়া তুমি,
অপলকে চেয়ে থাকা অদৃশ্য বিধাতার আশীর্বাদ-
বর্ষার বিকেলের অঝোরে ঝড়ে পরা মুক্তবিন্দু,
বসন্তের রঙ্গীন সন্ধ্যের মায়াবী আলোকছটা-
আমার জীবন নৌকোর দিক দর্শানো হাল।
আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি,
সুদুরে অপেক্ষারত সংসারবন্দীনি রাজকন্যা,
ফিরিয়ে দাও আমার কৈশোরের স্বপ্ন,
আমার যৌবনের আকুলতা ত্রস্ত দ্বিধার বেদনা,
সযত্নে লালিত ব্যাথা হৃদয়ের গোপন অভিসার,
দিক্শুন্যহীন স্বপ্ন রাজ্যের রমন সঙ্গীনি।
আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি,
শত সহস্র নাগ্পাশের মাঝে আমার শৃঙ্খলহীন ভালোবাসা,
আমার কবিতার প্রতিটি চরণের উদ্গাতা,
হারিয়ে পেয়েছি বারে বারে ফিরে ফিরে মুক্তমালা,
আমার মহুল নেশার গহন গভীর অনুভুতি,
মহাকালের চিত্রপটে একে রাখা মানসী-
আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি।