ব্যালকনি থেকে হাতছানি ছিল-
সুন্দরী নগরীর উদাত্ত আহ্বান বিমানের জানলা পার করে পৌছে যায় ,
বিকেল সুর্যের তখন অলস বিশ্রামের সময়,
মনের খাতায় শুধু আঁকিবুকি কাটা অপেক্ষায় যদি দেখা পাই-
দৃষ্টির চপলতা এদিক ওদিক যদি কেউ এক মুঠো হাসি নিয়ে এসে দাড়ায়,
লাল ঠোঁটের মিষ্টি হাসি খুন্শুটী করে পর্দার ওপর -
কিন্তু মেঘলা মনের হালকা ছায়া বিকেলের ম্লান আলোক্ছটাকে করে আরো ম্লান,
ইচ্ছে পাখীর ডানা ঝাপটে উঠে উড়ে যেতে চায়-
কঠিন আলিঙ্গনে শুধু যদি পারি ফোটাতে সেই কাঙ্খিত হাসির ঝলক,
সন্ধ্যের সুর্যাস্তে আরব সাগরের ধারে ভেসে ওঠে চুলের বন্যার মাঝে সেই মুখ সেই হাসি,
আমার দিনের শেষের মুহুর্তগুলো আবার নানা রঙ্গের খেলায় হয়ে ওঠে রঙ্গীন,
আছড়ে পরা কল্লোলিত ঢেউ এর আঘাতে যেন সরে যায় তাঁর দুঃখমালা-
আমার তুলির টানে ফিরে পাক সে ছন্দের বন্দনা ,
রাতের স্বপ্নে আমার সজীব ছোঁয়ায় নিশাচরীর তন্ত্রীতে উঠবে ঝঙ্কার,
ফিরে পাবে অমর ভালোবাসার অঙ্গীকারের অমোঘ ছোঁয়া-
আলোকজ্জ্বল নগরীর প্রাণ আমায় দিয়ে যায় অনিবার্য্য ভবিষ্যতের আশ্বাস।
আবার ফিরে ফিরে দেখতে পাই সে হাসিমুখে কেটে যাওয়া মেঘের ছায়া,
বিধাতা আমার লিখে দেয় একমুঠো ভালোলাগার অঙ্গীকার।