আমায় শুধু হাতছানি দেয় এক মায়াবী চোখের কাজল রেখা,
আমি যে খুঁজে পেয়েছি এক স্নিগ্ধ অবসাদের ছায়া তাহারই আড়ালে,
গালের টোলের ভাজে লেখা আছে সজীব নমনীয়তা,
গভীর চোখের তারায় পড়ে নিতে হয় জীবনের গল্প-
লাল ঠোঁটের মিষ্টি হাসি এনে দেয় অবুঝ আলিঙ্গন।


ঠিক যেন হারিয়ে যাওয়া পথের ধারে দেখা হওয়া হরিণী দিকহারা,
আমার সকাল সুর্য হেসে বলে তাকে জাগিয়ে দিতে,
হাজারো কাজের মাঝে উঁকি মেরে পালিয়ে যায় পাগল করা চোখের টান,
রাতের স্বপ্ন মাখিয়ে দেয় তাঁর দেহের মাতাল করা গন্ধ,
চলন্ত গাড়ির পথের ধারে সরে সরে যাওয়া গাছের আড়ালে ভেসে ওঠে সেই মুখ।


জানলা ভরা জ্যোত্স্না  আমায় মুচকি হেসে করে ইশারা তাঁর-
দুরের আকাশে উড়ে যাওয়া সাদা বকের পাখায় আমি পড়ি তাঁর নাম,
আবার ফিরে যাই বিছানায় খুঁজে ফিরি তারে নরম সাদা বালিশের মাঝে-
কখনো পাগলামো কখন খুন্শুটি কখনো অলস পাশে বসে থাকা,
শুধু সান্নিধ্য অভিলাষি মন খুজে ফেরে তারে সেই দিকহারানো হরিণীরে।


হারিয়ে যাওয়া মুহুর্তগুলো শুধু স্মৃতি নয় ঠিক যেন ফিরে পাওয়ার ক্ষণ,
সেই হাসি সেই উষ্ণতা ঘিরে থাকে আমার অস্তিত্বের ঘেরাটোপ,
আমার তুমি কে আমি খুজে ফিরি দিনে রাতে শুধু সঞ্চারে,
অলস রাতের গাম্ভীর্য্য ছেড়া শীতকার শুধু ঘোরে ফেরে চারদেওয়ালের মাঝে,
হে মোর অস্তিত্ব শুধু চিরকাল কাছে রেখো তারে কঠিন বিশ্ব মাঝে।