দেখেছি দেশে দেশে
বরণ করতে মানুষ আসে
ফুলের তোড়া হাতে,
ঘাটে-বন্দরে-স্টেশনে।
তুমি আসোনি,
দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে না পড়ো
তুমি আসোইনি আমার সংবর্ধনায়!
তুমি একবৃক্ষ কৃষ্ণচূড়ার  
সংবর্ধনা হয়ে মানিক মিয়ার শেষে!
থাক অজানা এই রহস্য
স্থিরতা আর মৌনব্রতর।

এক বর্ষামুখর সন্ধ্যায়
মাথা বাঁচাতে তুমি একদৌড়ে সিঁড়ির গোড়ায়,
আমাকে বললে চোখের ইশারায়,
"দৌড় দাও, যদি বাঁচতে চাও।"
সেই সম্মোহনে দৌড়ে গেছি,
সেই সন্ধ্যা হতে দৌড় শিখেছি!
মনে হয় তোমার আমার
দেখা হয়নি তারপর।
তোমার আমার দেখা হলে
বৃষ্টি হতো বারবার!
বৃষ্টিভেজা উহ্য থাক তাহলে
মমতা পল্লী আর অরুনিমার।
অনুশ্চারিত থাক পড়ে
রবীন্দ্র সরোবরে
আরেক ভেজা সন্ধ্যা পূর্ণিমার!
হাতে হাত ছিলো তোমার-আমার?
নাকি হাত দু'টো পাশে পড়েছিল,
নিশ্চুপ সংবরন শিখেছো তুমিও সেই থেকে?
আমিও বিপরীত স্রোত ঠেলা দৌড়ে,
যতোই শব্দ সংবরণ করতে যাই,
তোমাকে ভাবতেই
বেসামাল শব্দের ভীড়ে!

আমার শহর ছেড়ে যাওয়া বিষন্নতায়,
না আসো ঘাটে,
হাতে না থাকুক কদম প্রতিশ্রুতির,
তুমিও আর কোন শ্রাবণে যেওনা।
কোন দূর্লভ দিন, কি সন্ধ্যায়
দূদন্ড অবসর যদি খুঁজে পাও,
আমাকে দিও।
প্রতীজ্ঞা করছি, দৌড়ে এসে ছোঁবনা!
প্রশমন করে নেবো হাত, বাচাল ঠোঁট,
দু'পায়ে স্থিরতা শিখে নেবো,
উপেক্ষা করবো সম্মোহনী টিপ খেলা!
সেইদিন, কি সন্ধ্যা, দূরত্ব ঘোঁচা বেলা,
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে তোমার চলাচল দেখতে দিও।