যখন নিস্তব্ধ অন্ধকারে আমার চার দেয়ালের রঙ খসে পড়ে
আমি বীভৎস হয়ে যাই – ছন্ন ছাড়া জীবন নিয়ে !
তুমি তখন রঙ মাখো, নিয়ন চোখে কাজল কালো রঙ !
অষ্টাদশী হয়ে যেবার এলে আমার সামনে ঠিক তেমন ।
আমি হয়তো তোমার ওই চোখেই হারিয়েছে বার বার ।
জানো স্বপ্ন আমি দেখতাম,
তোমার কি বায়েলজির ক্লাসের কথা মনে পরে ,
আমার ক্লাসে মন বসতো না একটুও
কে যেনো গ্রাস করছিলো আমায় একটু একটু করে
হয়ত তোমার লালছে চুলের বিষাক্ত মাদকতা ।
আমি জানি সেদিন গুলো আর ফিরে পাবো না ।
এখন যে শুধু অন্ধকার, শত রাত্রি যে শত বছর হয়ে গেছে -মুক্তি কোথায় !!
শত ভীড় উপেক্ষা করেও যে মুখ আমি খুজে বেরিয়েছি – সেখানে তুমি কোথায় ।
তবে কি তুমি সে কাজল পরা অষ্টাদশী মেয়ে নও-
যাকে বুকে করে সমুদ্র পারি দিয়ে চলে এসেছি এতদূর !!
তবে কোথায় তুমি – কার জন্য চোখে কাজল পরো - কার জন্য এখন স্বপ্ন মাখো
খুব জানতে ইচ্ছে করে !!
নিস্তব্ধতা আর এই অন্ধকার আমার প্রশ্নের উত্তর খুজে পায় না ।
আমি যে শুধু তলিয়ে যাই – অন্ধকার আর অন্ধকার আর অন্ধকারের মাঝে !!
আমি জানি স্বপ্ন তুমিও দেখো-
মিথ্যা আশা নামক রঙ্গিন কোন স্বপ্ন ।
যেখানে ভালোবাসা হয় মানুষের সাথে , চার দেয়ালের সাথে নয় ।।