মাননীয়,
আপনি কি আমাদের দুঃখ, কষ্ট, আর সমস্যার কথাগুলো
বলতে বলছেন ?
নিঃসংকোচে ! নিশ্চিন্তে ! নির্ভয়ে !
কথা দিন সেগুলো নিয়ে
নর্দমার রাজনীতিতে নামবে না কেউ।


সময়ের অতি-আচার ছাপ রাখে শরীরে,
যাতাকল আর একটু জোড়ে ঘুরলেই
পেছন ফিরে দেখতে হবেনা আর !
মন্দ সময়ে ভাতঘুমও লম্বা হয়ে মৃত্যু হয়ে যায়।
জানুন,আমজনতার কষ্ট আছে বক্তব্য নাই।
মন্তব্যে তাদের জন্মেনি অধিকার ।


এখন আমার একটা স্টপওয়াচ দরকার।
কোন্ মানুষ রং বদলাতে কত সময় নেয়, মাপতাম।
আমার কিছু আর্ট পেপার আর রং তুলির দরকার,
মানুষের ওলটানো চোখগুলো আঁকতাম।
লোকে বলে মানুষ নাকি এমনই হয়!
আমি বললাম না কেবল অমানুষই হয় এমন।
এক মুখে আর কতক্ষন ছিটাব থুতু ।
সব কুকুর, কুকুর হয়ে জন্মায়.......
কিছু মানুষ কেন আজীবনেও মানুষ হয় না ?


অতঃপর সভাকক্ষ থেকে বিদায় নিয়েছেন সকলে ,
সুনসান নিরবতা আর একটি ডায়াস।
আমি আমজনতার দাবীর কথা বলছি,
পুনরায়, বারংবার ,দৃঢ় উচ্চারণে।
কিছু জড় চেয়ারের কাছে,
আমাদের দাবী,পতিধ্বনিত হয়।
দেখুন, এখন আর কেউ হাসছেনা,কেউই না।
মৃতেরা হাসে না।
মৃতদের উপহার দেবার মতন,
আমাদের কাছে অভিশাপ ছাড়া,
আজ আর কোন ফুলের তোড়া বেঁচে নেই।


অনেক তো হল আবার কেন?
ঠিকই তো!চাইলেই নাকি লোভে চকচক করে
আমাদের লালসার খাটোনজর!
বেড়ালের চোখ জ্বলে তবুও সে বাঘ হয়ে যায় না।
বাঘের চোখ জ্বলে তবুও সে হিংস্র।
আচ্ছা মনে মনে এত যে চাইল আমজনতা
ওদের জ্বলন্ত চোখ কি বেড়ালের নাকি বাঘের?
নেশাগ্রস্থ চোখ জ্বলেনা,
জ্বলে স্বপ্নভঙ্গ হৃদয়,
চোখ শুধু দেখায় প্রতিবিম্ব, ব্যস আর কত?
আমাদের স্বপ্নেরওতো দাম আছে তোমাদের দিকে চেয়ে
তোমাদের উনুনে আর জ্বালবোনা আগুন।


এখানে ক্লান্ত খোকা ঘুমিয়ে গেছে দিগন্তের পথে
যাত্রা শেষ না  করেই,  
যারা আমাদের মত বনের মোষ তাড়াতে আসনি!
লাভ লোকসানের খতিয়ান পকেটে নিয়ে,
কফিনের ফুলও যাদের হিসাবী।
ক টাকার ফুল ক টাকার ফুলুরি যারা ভাল জানে তাদেরকে বলি,
তোমরা বললে,আমরা তোমাদের মত অসহায় নই,
দলছুট নই,
শোন,আমরাও তোমাদের সাথে
কিছুদুর কিছুক্ষণ হেঁটে যেতে চাই।
জানি তোমরা রোজ কোন, নতুন স্বপ্ন দেখ,
তোমাদের সাথে,আবার বাঁচবো বলে,
সাত রঙা আকাশটা,আমরাও নিজ হাতে ছুঁতে চাই।
চেনা পথ ভুলে গেলে তোমরা নাকি,দ্বীপ জ্বালো।
মন ভরা তৃপ্তিতে দুচোখে স্বপ্ন জ্বেলে,
হাসিমুখে বাকিপথ,তোমাদেরই হাত ধরে আমরাও
চলতে চাই।
তোমরা  নাকি বল শুনি, "আবার হবেই ভোর।"
তোমাদের মত আমরাও স্বপ্ন বিভোর,
সংগ্রামে তোমাদের তোমাদের খুঁজে পেতে চাই।


বলছি যখন সত্য বচন, শুনছে না কেউ শুনছে না?
অহংকারে দিগ্বিদিকে, মানুষ বলে গুনছে না?
অন্যের ঘি, দোকানদারি,  বৃথাই করা সওদাগরি ,
ভাগ্য চাকা ঘুরছে না?
বলছি তখন শোন, নেই দরকার কোন,
ঘুম পেয়েছে বাড়িই নাহয় যাই....
এভাবেই হয়তো ভালই আছি!
সম্ভবনার নতুন সকাল এলে,
আমরা আবার নতুন করে বাঁচি ।


তোমরা না হয় ভালই থাকো,
মাঝে মাঝে পত্র দিও,
খোঁজখবরে আদান প্রদান মিলিয়ে নিও।
বাসতে যদি না চাও ভাল, না-ই বা ছুঁলে।
কিম্বা যদি মুখের আদল, অনেক অপছন্দ,
হঠাৎ যদি হয় মনে "সে এক গিরিখাদ মন্দ",
গালি দিয়েই লিখলে না হয় চিঠি।
জানতে যেন পারি,
আজ আমাদের কিছুই না থাক,
তবু্ও আছে লাখ জীবনের দ্বন্দ্ব।


দিলে দাও আগুন কাঁটা না দিলে নাই,
মশালের মত্ত আগুন যাক্ যাক্ যাক্ ছড়িয়ে,
অবাক করা সীমার প্রাচীর দে দে দে গুড়িয়ে।
পদাঘাত বুকের পড়ে ?
শুষছে রুধির?
যমপুরী আজ?
আছে দ্যাখ থুত্থরে সব বুড়োর দলে জোয়ান মরা।
আর সব জ্ঞানপাপীরা আকাল এলে দেয়না সাড়া।
কেউ বসে মজা দ্যাখে, কেউ দ্যাখে টাকার থলি,
কেউ শক্তির মাতন দেখে কেউ হয় কালের বলি।
আর কিছু তত্ত্ববাগীশ কুটনিতিকের উৎপাতে,
মাছি পরা বাসিভাতও জোয়ার আনে জনসভায়।
দিলে দাও আগুন কাঁটা না দিলে নাই।