শিষ্যমন্ডলীর মধ্যে যারা শ্রেষ্ঠ, সিদ্ধিলাভ করেছেন  
চিন্তায়, উপবাসে, আত্মনিগ্রহে...
দমন করতে শিখেছেন
কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ ও মাৎসর্য...
নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন যম, নিয়ম, প্রাণায়ামে..
অভূতপূর্ব সাফল্য যাদের  শব সাধনায়,  সম্মোহনে..
প্রতিনিয়ত  চেষ্টায়, সাধনায় যিনি সন্তুষ্ট,
এবারে তিনি আপনাদের জল, বাতাস,অগ্নি, মাটি,
আকাশ ও শূণ্যতার সিদ্ধির সাধনায়
আত্মনিয়োগ এর উপদেশ দেবেন।
কিন্তু তারও আগে লোকালয়ে যাজন সম্পন্ন করে,
ভিক্ষা করে, উপদেশ দিয়ে
সকলকে উন্মুক্ত হবার নিমন্ত্রণ করে,
আপনারা সন্ন্যাসীর কর্তব্য পালন করুন।


পিতৃগৃহের ঝলমলে পোষাক, বিলাসী জীবন ছেড়ে
কৌপিন ও সেলাই বিহীন গেরুয়া, গেরুয়া পোষাক,
সুদীর্ঘ প্রবাস জীবন...
যতক্ষণ ঠাণ্ডা অনুভূতি মরে না যায় ততক্ষণ,
হিমালয় চূড়ায় দাঁড়িয়ে যতক্ষণ ব্যথা,
ব্যথার অনুভূতি, মরে না যায় ততক্ষণ
কণ্ঠে ঢেলে দিন মন্ত্রের অমৃত।
হ্যাঁ একদিন আপনারা মস্ত বড় তপস্বী হবেন।


একটি মাত্র লক্ষ্য ছিল...
তৃষ্ণা, আকাঙ্ক্ষা,স্বপ্ন, আনন্দ-বেদনা থেকে
মুক্তি পাওয়া,
কামনাকে মরে যেতে দেওয়া।
নিরাসক্ত  হৃদয়ের শান্তি, বিশুদ্ধ চিন্তা
অভিজ্ঞতার আস্বাদন।
আনন্দ আর সৌন্দর্যের মায়ায় সবই কেবল মধু মধু লাগে।
কখনো কি সকল বিক্ষোভ আর আকাঙ্ক্ষা শান্ত হয়ে,
অন্তসত্ত্বা আত্মা জেগে উঠবে না পরিতৃপ্তি নিয়ে?


একটু কি এগোনো গেছে লক্ষ্যে?
পৌঁছানো গেছে ?
শেখা গেছে?
সাধনার পরে?
হয়তো যা কিছু প্রাপ্তি ,
আরো সহজে, আরো তাড়াতাড়ি শেখা যেতো,
যে কোনো পান্থশালায়,
মুটে মজুর, সাধারণ মানুষের কাছে!
কেবল পাপ ও বেদনার বিরুদ্ধে
ক্ষণস্থায়ী এসকল উপশম মাত্র!


যে  পন্ডিত,
কঠোর শ্রমণ, সাধু-সন্ন্যাসী, জিজ্ঞাসু...
যারা একাগ্রচিত্তে সাধনা করেছেন অন্তর দেবের,
তাদের কেউই কি খুঁজে পাবেন না?
পবিত্র সাধন গ্রন্থে, মন্ত্রে দিনের-পর-দিন
সে সকল প্রশ্নের উত্তর খোঁজা, এবারে ক্লান্ত সন্তান...
জননী ভিক্ষাং দেহি, জননী ভিক্ষাং দেহি।
২৩/০২/২০২২