ইদানিং মন একা, ইদানিং অসভ্যের মতো ভালোবাসে,
পাষাণ চোখও কাঁদে, ভারী মেঘ বড্ড জ্বালায় ইদানিং।
একা একা লাগা, সাজে কি শ্মশান কবি-র?
শেষ হোক হতাশার রসায়ন, প্রাণ কই প্রাণ-রসায়নে?


কোন কাজলে চোখ রাঙালে চোখের কান্না থামে?
কোন আকাশে রাঙা মেঘের বুক?
মেললে ডানা কোন আকাশে খোদাই-করা সুখ?
মিলিয়ে যাবে ডানা ভাঙ্গার ভয়!


কোন বিকেলে সঙ্গী খোঁজা, মোটেও অসুখ নয়?
এমন কাজল, এমন আকাশ, এমন বিকেল
কোন শ্মশানে ঘুমিয়ে গেছে ?
আত্মাও অমর নয়, এমন শবের শ্মশানে।


তবে কি আমি আর আসবো না ফিরে ?
এবারেও কিনতে পারিনি রাজ রক্ষিতার প্রেম!
কত কিছুই তো কিনতে পারিনি
কর্পুর, সোনালী পোকা, প্রজাপতি...
তখন তো ফেলিনি দীর্ঘশ্বাস!
জেগে ওঠা ঘুমন্ত পৌরুষ নিয়ে, সৌন্দর্যের তপস্যি হয়েও
মহার্ঘ্য পোষাক, সুগন্ধী আর গোলাপ কিনতে পারিনি।
রুপ আর রুপালী রুটি অধরা দুটোই।


বুঝতে পারছি, স্বেচ্ছায় ধরা না দিলে
চুম্বনে চুম্বক নেই, রক্ত কেবল।
বলো শীঘ্র কি করে কঙ্কণ পেতে পারি,
বলো শীঘ্র কি করে পেতে পারি সোনালী চাকা,
কঙ্কাল হবার আগেই আমি তোমাকে, কিনতে চাই!
ধ্যানে আর উপবাসে আর কতকাল!
২৫/০২/২০২২