মানুষ মানুষের কতটা নিকটে বাস করে তার অদ্ভুত এক মাপকাঠি কিংবা পরিমাপক হলো ঘ্রাণ... হ্যা শরীরের ঘ্রাণ... এ ঘ্রাণ কেবল সে-ই পায় যার ভালোবাসা শুদ্ধ, এর চিরায়িত এক উদাহরণ হলো সদ্য জন্মদান কারী মায়ের শরীরের ঘ্রাণ যেমন তার সন্তান ই পায় তেমনি সন্তানের দেহের ঘ্রাণ পায় একমাত্র মা কিংবা বাবা..
এ ঘ্রাণ শুধুমাত্র সন্তান ও তার পিতা মাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়... বরং এ ঘ্রাণ বাচিয়ে রাখে এক জোড়া কপত কপতীর দুর্দান্ত দাম্পত্যজীবন... প্রিয় মানুষের পছন্দের পারফিউমের ঘ্রাণ এক মাত্র তার নিকটতম মানুষই বুঝে... সে শুকেই বলে দিতে পারেন


ঘ্রাণ এক মাত্র তার নিকটতম মানুষই বুঝে... সে শুকেই বলে দিতে পারে প্রিয় মানুষের ব্যবহৃত চাদর, হাটার পথ, বিশ্রামের স্থান, পরিচিত কিংবা অপরিচত পরিহিত কাপড়....
তবে এ ঘ্রাণ চিরস্থায়ী নয়... সময়ের বেড়াজালে এ ঘ্রাণ বাস্পীভূত হয়ে বিলীন হয়ে যায়  দিক-বিদিক অমানিসায়...
আমিও এমন ঘ্রাণ পেয়ে বুঝে যেতাম...তোমার অস্তীত্ব.. তুমি আসার পূর্বেই আসতো তোমার শরীরের পরিচিত গন্ধ... ঠিক যখন দেখে এ ঘ্রাণ আমার নাসিকায় স্পর্শ করে না... সেদিন থেকে তোমার প্রতি আমার কিংবা আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা সেই গন্ধের মতো একটু একটু করে বাস্পীভুত হয়ে যাচ্ছে। তুমি কি টের পাচ্ছো আমাদের দেহতে মোমের প্রলেপ লেগে যাচ্ছে ।