নিশ্চুপ নিঃস্বার্থ নিরব নিরর্থক
নির্বিশেষে অন্ধকার।
হৈচৈ হাতছানি হড্ডগোল হাতাহাতি
হয়তোবা উজ্জ্বল।
প্রার্থনা প্রতিজ্ঞা পাওনা প্রত্যাশা
প্রতিফলনে অমিল।
ব্যস্ততার বহিঃপ্রকাশ ব্যয় ব্যথা বাস্তবতার
সামিল।
রীতি রেখা রঙ রুপা রচনাতেও ক্যাচাল।
সুবিধাবাদী সার্থপরতা
সম্মানে সীমাবদ্ধতা সবিনয়ে প্যাঁচাল।
আমি আমরা আমাদের আজও আর্তনাদে আকুল।
তুমি তোমারা তোমাদের তবুও তিলেতালে
ত্যকূল।
এইতো এদিকে এখনো এপিঠে একাকিত্বে
একাকার।
সময় সেদিন সার্থকতা সেদিকে সৌখিনতার
সাক্ষাতকার।
চলন চতুরতা চয়ন চালাকি চতু্র্দিকে চমৎকার।
বিনয় বোকামি বাসনা ব্যর্থতা বিপরিতে
বদ্ধঘর।
ধূ্র্ততা ধূলিমাখা ধোকা ধোয়াটে
ধিরেধিরে ধিক্কার।
পশ্চিম পুর্বে প্রারাম্ভ প্রান্তে পচনের
পুর্বাভাষ।
জীর্ণতা জখম জরাজীর্ণ জালাময়ি জটিল
জীবন।
ছন্দেপতন আত্নহনন বেদনসিক্ত অশ্রুমুখ যখন,
প্রার্থনারত আবদ্ধ তীরবিদ্ধ ধূসর ঝাপসা
তখন।
ভেঙ্গেছে পালকী ডুবেছে নৌকা প্রতিশোধ
পরায়ণ তাই,
অবহেলা ছলনা মিথ্যে অহংকার
স্বার্থপরতার স্থান নাই।
হাসি ক্রন্দন প্রেম ভালোবাসা ভাবনাতে
অনুভূতির অপমান,
সেই হাসি সেই ভালোবাসা আজ বুঝি তার
কতো দাম।
হৈ হাল্লা চিৎকার চেঁচামেচি সবকিছু আজও
চলোমান,
আড্ডা গান কাব্য কবিতা সবি চাঞ্চল্য শুধু
আমি নিষ্প্রাণ।
এইতো আমি অন্ধকার কালো মৃত প্রতিদ্ধনি,
শান্ত জল মৃদু পবন সান্ত্বনা খুজে ফিরি।
এইতো আমি কাঁচেতে ধুলো শুধু কয়লারখনি,
শুকনো পাতা তিক্ত সাদ ভাঙ্গা হাড়ির গল্প
শুনি।
এইতো আমি যাযাবর আজ আপন ঘরে বলতে
গেলে নিঃস্ব,
অবহেলা আর করুণার চোখে তাকিয়ে থাকে
বিশ্ব।
এইতো আমি মহাপ্রলয় তবুও হতাশাগ্রস্থ মন,
শুকনো বরফ আর মরুভূমিতে খুজেফিরি
আপনজন।
এইতো আমি ভাবনাপ্রিয় হাতের মুটতে কিছু,
মরিচা ঘুণ ভাঙ্গন ফাটল ছাড়েনি আজও পিছু।
এইতো আমি হতে চাই স্বার্থপর তবুও আজো
শান্ত,
নির্বাক দৃষ্টি ঝিম ধরেছে আমি চির ক্লান্ত।
এইতো আমি পিচ্ছিল কাদামাখা অতৃপ্তির
ব্যাসবাক্য,
প্রতারনা নিষ্ঠুরতা ও নির্লজ্জতার বৈঠকের
শেষ স্বাক্ষ্য।
এইতো অামি নির্বোধের বিচার পথের শেষ
প্রান্ত,
শিশির কনা কুয়াশা হয়ে থাকবো চির অনন্ত।
তবুও
ধন্য আমি ধন্য সত্যিই আমি ধন্য,
পরমকরুণাময় যদি একবার বলে ছেলেটি সুপথে
গন্য।