একা (১)
মোঃ সোহাগ প্রামানিক (উত্তরের পথিক)


১)
গভীর প্রশ্নগুলো বার বার
মোরে নাস্তানুবাদ করে
আমি তো ভাই
একা পথিক
ক্ষনিকের সুখের
মেহমানখানায়,চিরকালও একা।


২)
মওলা তোমার
অপার মহিমার কাছে
যাব বলে পথে নেমে
হঠাৎ দেখি মোর
সারা শরীর উঠল ঘেমে
ঘাম ঝরছে,
অঝরে ঝরছে
পোশাক বেয়ে।।


৩)
এমন সময়
সাঁঝের পাখি উঠল গেয়ে
কী নাম
যেন ওই পাখিটার,
সাঁঝের বুলবুলি  ?
ডাকছে একা
বুকের ভেতর,
স্তব্ধ নিখিল ।
পথের বাঁকে
পাব কাকে
কে আর আছে
আমায় দেখে
সন্ধ্যাকালীন অতিথি আপ্যায়নে
হায় রে মরণ,
কী অকারণে,
এমন করস তুমি ?
কাঁপছে সবই,
পায়ের নিচে মাতৃভূমি ।


৪)
কারা যেন
ছায়ার মতন আছে কাছেই
ছড়িয়ে আছে
ঘাসের ওপর গাছে গাছেই,
আমি তো সেই
পথের মানুষ পথেই আছি
হাত বাড়ালেই পাবে
মনের কাছাকাছি ।


৫)
কেবল তোমার (বউ)
মুখের মায়া
ডাক দিয়েছে
সংসার হয় মোর।
এই মানব সংসারে
হাঁটতে হাঁটতে
ভাবছি মরণ
হাঁক দিয়েছে মোরে,
এবার নামুক
ঘুটঘুটে আঁধার
আমায় ঢেকে।।


৬)
সব চলে যাক
আলোর সাথে-
আমি একা আছি
ছিলাম,থাকব।।
তবে সাহস পায়
মোর মওলার মহিমায়।
তার নদী, পাহাড়
আকাশ, সবুজ প্রকৃতি
মিষ্টি মানব
ও সুন্দর পশুদের
নিবিড় মায়ায়।।