আললাহর প্রেমে মাতাল পথিক
মোঃ সোহাগ প্রামানিক (উত্তরের পথিক)


১)
তুমিতো হয়ত মাঝে মাঝে হও মাতাল  
আর প্রকৃতিস্থ,
কেউইতো নেই আশেপাশে যে পথ দেখিয়ে আমাদের বাড়ি নিয়ে যেতে পারে।
বারবার আমি তোমায় বলেছিলাম,
কিছুটা কম খাও,
অনেক কম।
আমি তো জানি, এই শহরে,
কেউই নয় মিতপায়ী,
একজন হতে আরেকজন আরও মন্দ,
কমবেশি সবাই দিশেহারা
আর কেউ কেউ বদ্ধ উন্মাদ।


এসো হে আমার বন্ধু,
পদার্পণ করো,
আললাহর  প্রেমে নবজোয়ার হয়ে
যাবার এই পানশালায়;
নতুন আরেকটি বন্ধুর সান্নিধ্যে এসে স্বাদ নাও জীবনের অমৃত সঞ্জীবনীর।


২)
এখানে প্রতিটি কোনায় দেখবে, আললাহর ধ্যানে মগ্ন কোনো বান্দা ,
আর নামাজ, জিকির নিয়ে
চক্কর দিতে ব্যস্ত।
সত্যিকারের আললাহর প্রেমের,
পথের সাথী ও পথিক,
আমি যখনই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম
ঠিক তখনই
আমার কাছে এলো একজন প্রেমে মাতাল আললাহর
যার আভাতে জান্নাতের একশতো বাড়ি হলো আলোকিত।
আললাহর ধ্যানে বার বার
দোলছে আর গড়াচ্ছেন,
তিনি যেনো একটি নোঙরহীন পালের নৌকো মতো
আসলে তিনি হলেন,
উপকূলে থেকে যাওয়া,
সব বিচক্ষণ ব্যক্তি কাছে
এমন পথিক ঈর্ষার পাত্র।


৩)
“আপনি কোথা থেকে এসেছেন”, আমরা প্রশ্ন করলাম পথিককে।
তিনি উপহাসের ছলে হাসলেন বার বার
আর বললেন,
“এক অর্ধেক পূর্ব হতে,
এক অর্ধেক পশ্চিম হতে,
এক অর্ধেক তৈরি
পানি আর মাটির দ্বারা
এক অর্ধেক তৈরি
হৃদয় আর আত্মা দ্বারা।
এক অর্ধেক আছে সমুদ্রের তীরে,
আর এক অর্ধেক বাস করে
সমুদ্রের গভীরে মুক্তোর ভেতরে।”


৪) পথিক আমলে,
পথিক ধ্যানে,
আমরা অনুনয় করলাম, “আমাদের আপনি বন্ধু করে সাথে নেবেন?
আমরা আবার বললাম,
আমরা তো আপনার অতি নিকটের আত্মীয়।
তিনি বললেন, আমি তো স্বজনদের চিনিনা;
অপরিচিত জনের কাছে আমি রেখে এসেছি আমার যত বিষয়সম্পত্তি।
আর প্রবেশ করেছি (আললাহর প্রেমের অমৃত সঞ্জীবনীর) এই পানশালায়।
আর কেবল আছে
এক বুক ভর্তি অনেক শব্দ,
কিন্তু এগুলোর একটিও
আমরা আজ আর উচ্চারণ করতে জানি না।
আমিন আমিন।।