আমার আম্মা ও আব্বা
মোঃ সালেহ উদ্দিন প্রামানিক(উত্তরের পথিক)


শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে,
আজ বলব,
সব নয়
কিছুটা আমার
পরিবারের কথা।।


আমরা মাকে আম্মা আর
আপনি বলে ডাকতাম
আব্বাকেও ডাকতাম ‘আপনি’।


আমার আম্মার অনেক সাহস
কোন অন্যায় দেখলে
দাঁড়াতো আব্বার সামনে,
কথা বলতে গিয়ে বলত
"এ অন্যায়"
কখনোই মাফ করা যায় না।


আমার আম্মাকে আব্বার সামনে
এমন সাহসী দেখাত যে
আম্মা কে আপনি বলার কথা
আমার ভীষণ সাথক মনেই হয়েছে।


আমার আম্মা  আমার থেকে লম্বায় বড় ছিলো,
কিন্তু মুরব্বিরা সম্মানে সবসময় বড়।
আমার আম্মা  ছিলো আমাদের সাহসী শ্রেনীর,আমাদের বর্ণের,আমাদের গোত্রের।


আব্বা ছিলেন অনেকটা 'সুফী’ মতো,
তার জ্যোতি দেখলে আমি দাঁড়িয়ে যেতাম
আব্বা ও ছিলেন অনেকটা সিংহের মতো, তার গর্জনে আমরা ভয়ে ভয়ে থাকতাম
আব্বা ছিলেন অনেকটা নাটোরের চলন বিলের প্রচন্ড চিলের মতো, তার ছায়া দেখলেই
সম্মান করতে করতে কাহিল হতাম।।
ছায়া সরে গেলে আবার বের হয়ে আললাহর শুকরিয়া আদায় করতাম।


আমার আম্মা ছিলো ধানখেত-সোনা হয়ে দিকে দিকে বিছিয়ে থাকতো।
আমার আম্মা  মা ছিলো দুধভাত তিন বেলা আমাদের পাতে ঘন হয়ে থাকতো।
আমার আম্মা ছিলো ছোট্টপুকুর-আমরা তাতে দিনরাত সাঁতার কাটতাম।
আমার আম্মার ব্যক্তিগত জীবন ছিলো
খুবই নিয়ম মাফিক,
আরও দেখতাম নামাজে, রোজায়,জিকিরে,দান-খয়রাতে ।


আমার আম্মাকে সবসময় সম্মানে,
শ্রদ্ধায় দেখতাম
বন্ধু মনে করতাম
আব্বা কে কাছে পেতাম কম
আবদার, আরজি, দাবী, টাকা
সব সবসময় আম্মার কাছে জানাতাম।।


সত্যি, বলতে এমন সম্মান ও মহব্বত করতাম
আম্মা ও আব্বাকে
আজও বলতে পারব না
তাদের চোখে জোড়া ভ্রভ্রু
আল্লাহ তাদের ভালো রেখো
আব্বা আজ জান্নাতে
আমরা দুনিয়ায়
আল্লাহ তাদের ক্ষমা কর।।


আমিন আমিন আমিন।।