গনতন্ত্রের বিষণ্ণ চাঁদ
মোঃ সালেহ উদ্দিন প্রামানিক(উত্তরের পথিক)


১)
বাংলাদেশের আকাশে এক বিষণ্ণ চাঁদ
এ রাতেও উঠেছে তেমনি
গজব উন্নয়নের শাসকের
গনতন্ত্র নিয়ে ইদুর বিড়াল খেলা
বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে গনতন্ত্র শব্দটি
এখন অবাকই মনে হয়
সত্যি বলতে, এমন চাঁদের দরকার নেই।।


২)
যেমন সে উঠেছিল হাজার বছর আগেকার
বৃষ্টি-ধোয়া আসমানে।
সে রাত্রির অস্ফুটে ব্যথার
মৃদু স্বরালোপ আছে এ আকাশে।
কিন্তু  সেই ক্ষীণ কণ্ঠধ্বনি
এটম বোমার মত
বিস্ফোরণের অপেক্ষায়,
গনতন্ত্রের জন্য
রক্ত দিতে মানুষ
আবারও যুদ্ধ করবে।।


৩)
কত হতাশার সুকরুন সুর
আমার মনের তারে বেজে ওঠে
আপনা আপনি,
শ্রাবণ মেঘের মাঝে ডুবে যায়
গনতন্ত্রের বিষন্ন চাঁদ যতবার;
যতবার ভেসে ওঠে।
দূরে এক অস্পষ্ট কিছু কিছু চরিত্র
সাধীনতা, সাধীনতা  
নিয়ে চেঁচাতে
আজ তেমন দেখা যায় না।।
৫০ বছরের সাধনার
সত্যি, নায়ক, খলনায়ক,ঘসেটি বেগমরা
শতাব্দীর স্মৃতি ও অন্ধকার দিয়ে
বাংলাদেশ ভাগ্যাকাশে জাগায় ব্যথার আবেষ্টনী।


৪)
কেউ কেউ উপাধিতে
পরাধীনতার হাজার বছরের রক্ষাকতা হিসেবে
সত্যি, এইসব  মাঠ গরম স্লোগানে,  গল্পে,কবিতায়,আর ছলা কলায় সম্ভব
হাজার বছর ধরে নয়
মোদের পাপের ফসল
এই গনতন্ত্রহীন চাঁদ বিষণ্ণ বর্ষার।।


৫)
কেন আজও
বুক ফুলিয়ে
বলতে পারি না
অমুক নেতা
অমুক পিতা
অমুক তমুক
আজব গজব থেকে
তমুক তমুক মহামানবরা বিখ্যাত
মোদের হৃদয় তো ভাই
কোন দলের
কোন গজবের
কোন আজাবের
কোন কোন বাপের(পিতার)
কোন কোন হেন কন্যা, তেন কন্যা
একক সিল মারা নাই
মোদের হৃদয় ভীষণ সাধীন।


৬)
জনগন আজব নয়
সবার জন্য গনতন্ত্র জনতন্ত্র
ব’য়ে নিয়ে যাবে স্মৃতি জনপদে
যেখানে অসহ্য  বেদনা-মন্থর;
অস্পষ্ট ছায়ার মত,
যেখানে এ রাত্রির দুয়ারে,
খুলে দেবে অন্ধকারে জীবনের
কিছু  বিস্মৃতির অজানা প্রহর;
বৃষ্টি ধোয়া আসমানে জাগাবে
সে এই ক্লান্ত স্বর;
কখনও কখনও হারাম করবে
আজব গজব শাসকের হুমকির থাবাকেও
হাজার বছর পরেও।
সবার জন্য
একবার শুধু একবার নয়
শত বার গনতন্ত্র আসুক
জবাবদিহিতা আসুক
সত্য উপলব্ধির শাসক আসুক
আমিন আমিন আমিন।