গভীর অন্ধকারে ছাওয়া মায়াবী আলোর ঘর



কি যেন একটা নিরবতা
দীর্ঘ আয়ুকাল কামনা বৃথা
তুষারের পর তুষার ঝরেছিল যেদিন
নেমে আসা অশ্রুতে কাঁপছিল আমার শরীর
আত্মার দোসর হয়েছিল দোলাচলে সঙ্গিন।
যাও তুমি, চলো পথ স্বাভাবিকতালে
সামনে সরণি প্রশস্ত
তুমি কী দ্বিধাগ্রস্ত
খামোকা দাঁড়িয়ে থেকে বেখেয়ালে
কোন স্বপ্নে হয়েছ তুমি বিভোর
আঁধারের সমাপ্তিতে ফুটবে যে ভোর
জানি মোরা
আহত নিহত জমিন
আরও নিহত মানবতা।।



মন না চাইলেও
দেখো – ফুটে-ওঠা ফুলের
মতো আলোকিত
দোতলা বাড়িগুলো
তাকাও – চোখ তোলো
তলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
ভোগান্তির সাথে হচ্ছে পরিচয়
সড়ক চলে গেছে আনন্দলোকে –
যেখানে পৌঁছতে পারেনি কেউ
চলতে চলতে দেহ-মনে জাগছে ভয়
দেখো – দূরে কাঁপছে আলোকের সম্পাত
যদিও বাড়িয়েছ বোকার মতো হাত
মানুষেরা জেনে শুনে ভুল বেশি করে।


আগে বাড়ো, চলো নিজস্ব পথে
স্বপ্নে হয়েছ বিভোর, পা ফেলো যাত্রার শপথে।
ল্যাম্পপোস্টের ওপর জড়ো হচ্ছে স্মৃতি
হেঁটে যাই আমি ওইদিকে
তাকাই – চোখে পড়ে
বাতির ঢাকনাতলে
আলোহীনতা জ্বলে অনিমিখে
দেখি ওখানে গৃহ এক
গাঢ় অন্ধকারে হয়ে আছে নিবিড়
আলোর আলয়ে কালো
অশরীরীরা করে আছে ভিড়
তুমি ভয় পেয়ে না
একটু চোখ বন্ধ কর
আবার খোল দেখবে
গভীর অন্ধকারে ও
তুমি মায়াবী আলোর
রুপমহল তোমার সামনে ভাসছে।


মনে পড়ে ঐদিন
আকাশ ছিল গভীর অন্ধকার
আর আলোরিক্ততায় আবাসিক
মিষ্টি পাখিগুলো উড়ছিল নির্ভার।
বিচিত্র ভাবনা ও আশার দুনিয়া
কতবার আমি মৃত্যুকে করে নেব বরণ
ওইভাবে ওড়ার জন্য
কেউ আমার হাত করবে না স্পর্শ
বুঝবে না কেন আবেগ হয় বন্য
কতবার ম্রিয়মাণ হবে আমার পণ।


অনেক অনেক কথামালায়
কোন স্বপ্ন এতো মধুচন্দ্রিমায়
কোন স্মৃতি জ্বলে উজ্জ্বলতায় আকাশে নিঃসীম।
তুষার-কুঁচি যেন আমার
আঙুলের অগ্রভাগ
ছুঁয়ে যায়
বিলি কাটে চুলে – ছড়ায় দিব্য অনুরাগ।
জলদি করো – দীপ্ত হও অন্তর্গত শপথে
পা ফেল – চলো নিজস্ব পথে।
অন্ধকার আছে বলেই
আলোর এতো কদর
ভয়ের কিছুই নেই
আললাহ মালুম।