অপরাধের নানা ভাষা


অপরাধ সামনে পিছনে
মনে জাতির মানসে
জন্ম হয়, ধ্বংস কামনায়।
আমি মনে মনে
অনেক ভাবলেও
আমি আমার
উত্তরাধিকার সূত্রে জানা
পাওয়া নয় গো বন্ধুরা।।
অনেক গল্প /কবিতা/আজব সংবিধান
অনেক খলনায়ক/নায়ক/আজীব জোর করে গেলানো বুলি হাজার বছরের ঐতিহ্য
মনে হলে
গায়ে আগুন ধরে
মাঝে মাঝে
মন হয় সব পুড়িয়ে ফেলি।
সবার মনে অপরাধ জন্ম নেয়
শাসকের বাপও
কিছু অপরাধ কিছু কথা
দমন করতে পার না।।


বলি ’আমার দেশ হল কুমারী, আর
কোনো কবর নেই আমার যৌবনে।
আমি আল্লাহ  ও শয়তান দুজনকেই চিনি
আমার পথ আল্লাহ দিয়েছেন
আর শয়তান পথের কাটা
আমি আমার বইয়ের
ভেতর দিয়ে কল্পনায়
উজ্জ্বল সবুজ বজ্রমালার
মিছিলে হাঁটছি অবিরাম গতিতে
আর চিৎকার করছি:
আমাদের জন্যই বেহেস্ত
সত্যের কোনো পতন নেই
আমি অপরাধের সব ভাষা শেষ করে দিচ্ছি
কিন্তু আল্লাহ ক্ষমাশীল।।



মোর মোনাজাত


হে আললাহ মোনাজাত করি
তুমি সব কিছু দেখো ,
তুমি ভালোবাসো মোদের
জেগে থাকো সবসময় রাতে ও দিনে
আমরা রাতের অভিজ্ঞতা এখনো পাইনি
অন্ধকারের ভেতর নৌকা ভাসাইনি এখনো।


হে আললাহ  মোনাজাত  করি
কুহকের বিনাশ হোক
আমাদের বসত হয় যেন আগুন আর ছাইয়ে।
হে আল্লাহ  আমি মোনাজাত করি
কখনও পাগলামী না হয়  যেন আমাদের সঙ্গী।



দর্শন ১
কখনও কখনও
পোড়া কাঠের মুখোশ  পড়ে,
হে আগুন আর রহস্যের প্রাসাদ
আমি অপেক্ষা করছি সেই আল্লাহর
যে অগ্নিশিখা গায়ে দিয়ে
সমুদ্রের পাকস্থলির ঝিনুক থেকে চুরি করা-
মুক্তোর মালায় সজ্জিত হয়ে এদিকে আসবে।
আমি অপেক্ষা করছি
সেই আল্লাহর যে নিজেই বিহ্বল
দ্বিধাগ্রস্ত, রাগ করছে কান্না করছে নত হচ্ছে
আর ছড়াচ্ছে ঔজ্জ্বল্য।
তোমার মুখে বলব সবসময়  হে আললাহ
হে আল্লাহ, হে আললাহ
সেই আল্লাহকে সবসময় অভিবাদন জানায়।



দর্শন ২
কিছু কিছু বেদনার
হলুদ গম্বুজে রাখা
বইগুলোতে হঠাৎ চোখ রেখে
দেখতে পাই একটি ফুটো শহর হওয়ায় উড়ছে।
একটি সিল্কের দেয়াল আর নিহত নক্ষত্র  
দোল খাচ্ছে  একটি সবুজ বোতলে।
দেখতে পাই  রাজপুত্রের উপস্থিতিতে
একটি কান্নার অববয়ব–
বিচ্ছিন্ন অঙ্গসমূহের মাটির তাল,
অবলুণ্ঠিত।



হে ফেরেশতারা


আমি শপথ করছি আমি পানির উপরে লিখব
আর ফেরেশতাদের সাথে চলব।
আমি শপথ করছি
আমি ফেরেশতাদের সাথে থাকবো,


ফেরেশতারা – ব্যস্ত আদেশ আর আদেশ পালনে
আর অন্ধ হয়ে খুঁজছে শেষ পালকগুচ্ছ
ফেরেশতারা যা দিয়ে লিখবে ধুলির কবিতা –
সবার জন্য হেমন্ত আর ঘাসের নুইল পরশে
আমি শপথ করছি
আমি ফেরেশতার সাথে থাকবো।।



কথোপকথন


তুমি কে? তুমি কাকে নেবে হে আললাহর বান্দা ?
তুমি যেখানে আছ সেখানে আছে আল্লাহ
আর শয়তানের অসীম গুনাহ
গহ্বর আসে আর যায়
আর পৃথিবীই তোমার একমাত্র অবলম্বন|


আমি শয়তানকে গ্রহণ করি না
কারণ তার অপরাধের এক একটি দেয়াল


প্রত্যেকেটি পাপি বন্ধ করছে আমার নেক আমল।
কেনই বা দেয়ালের বৃথা পরিবর্তন বা বদল
যখন আমার সংশয়ই তারই সংশয়
যে আল্লাহ  আলো বিতরণকারী ও সর্বজ্ঞ।



আগুনের গাছ


মনের আবেগ ও অনুভূতির
কল্পনায় আগুন গাছ
একটি পাতার পরিবার
বসে আছে একটি ঝরনার কাছে,
কান্নার দেশকে মোচড় দিচ্ছে আর
পানির কাছে পাঠ করছে আগুনের পুস্তক।
আমার পরিবার চলে গেছে নিঃশব্দে
আমার জন্য একটুও অপেক্ষা করেনি।
এখন কোনো আগুন নেই,নেই কোনো দাগ।
ভ্রমণ করি মোরা
শিখি কম,
ভ্রমণ করছ বিন্তু ঠায় দাঁড়িয়ে আছ,
হে সূর্য,আমি কিভাবে
তোমার এই পদচিন্নের কৌশল শিখি?



মাতৃভূমি
মোদের রক্তের ও ত্যাগের বিনিময়ে
তোমায় পাওয়া
যে মুখ শুকিয়ে যায়
বিষাদের মুখোশে আমি
তার কাছে মাথা নত করি।
আমি মাথা নত করি সেই
রাস্তার কাছে যার উপর
দাঁড়িয়ে কান্না ভুলে যাই।
যে বাবা তার মুখে পাল উড়িয়ে –
সবুজ মেঘের মত মরে গেল


আমি তার কাছে মাথা নত করি।
যে শিশু মোনাজাত করে
আর জুতো পালিশের জন্য বিক্রি হয়ে যায়
আমার দেশে আমরা কম বেশি
সবাই নামাজ আদায় করি আর অনেক কাজ করি
যে পাথরে আমার ক্ষুধা দিয়ে খোদাই করি এই বলে যে – ওরা আমার চোখের মনিতে
বিদ্যুৎ আর বৃষ্টির পানি হয়ে গড়িয়ে পড়ছে।
এবং সেই বাড়ি যার মাটি আমি বহন করি না আমার ভবঘুরে জীবনে তার কাছে আমি মাথা নত করি না এ সবই আমার মাতৃভূমি।



মোর পতন


ভাষায় আল্লাহর শুকরিয়া জানাও
অনেকবার লাখবার
আমি আমার ভাষা নিয়ে
মহামারী আর আগুনের মাঝখানে
এইসব বাকহীন পৃথিবীর সাথে বাস করি।
আমি বেহেস্ত আর আপলের বাগানে
মা হাওয়া আর অভিশপ্ত গাছ
আর ফলের
মালিকের মাঝখানে
প্রথম আনন্দ আর প্রথম হতাশা নিয়ে বাস করি।
আমি বাস করি মেঘ আর বিদ্যুতের মাঝখানে
একটি পাথরে -যেটি ক্রমশ বড় হয় আর
একটি পুস্তকে যেটি শিখিয়ে দেয়
পতন চাই মোদের
আললাহর মদদ সবসময়।।