কেন ভালোবাসার চিরবিদায়
মোঃ সালেহ উদ্দিন প্রামানিক (উত্তরের পথিক)


১)
তোমরা কি দেখো,
তোমরা কি বুঝো,
না তোমরা অভিনয় করছো।
মায়ার প্রদীপখানা যখন ভেঙে যায়,
আলো তার ধুলিতে লুটায়।
মায়াবী মেঘটা যখন ছড়িয়ে পড়ে হায়,
রংধনুর রং কোথায় মিলে যায়!
ভাঙে যখন সুর তোলা সেই বেনু।
তেমনই তোমার কথা যখন শুনি,
প্রেম ও মমতার কথায় সব ভুলি তখনই।


২)
মানব সংসারে
দীর্ঘ আয়ুকালে
কত কত ঘটনার কারবারে
পাখির গান এবং মন টানে
আলুক বাকুল দীপ্তি যেমন করে
বাঁশি এবং দীপের সাথে মরে,
সত্যি, আবেগ যখন বাক্যহীন হন
হৃদয়ে তার সঙ্গীত না রয়।


৩)
কখনো কখনো গানে বাজে
আহত নিহত শোকের করুণ সুর,
ভাঙা ঘর ও ফাটা বাঁশ বাগানে
ভেতর দিয়ে বাতাস বহে দূর।


৪)
হয়, তোবা সে গান বিলাপ ভরা,
ঘণ্টাধ্বনি নাবিক মরা।
মন ভোমরা মিললে এক সাথে,
প্রেম পালাবে সুখের নীড় হতে।
দুর্বল চিত্ত একাকীত্বের যন্ত্রণায়
বিরহ আর অশ্রু নিয়ে দিন কাটায়।


৫)
বিদায় নিয়ে
কিসের ছুটি।
ওগো প্রেম! হেথায় তোমার শোক,
কারণ সবে অবিশ্বাসী লোক।
তবু কেন হালকা, ভঙুর ওইখানে
বানাও তোমার দোলনা বাড়ি কে জানে?


৬)
কেন চিরবিদায়,
কেন এমন হয়,
কেন ভালোবাসার,
এমন পরিণতি।
আবেগ ও অনুভূতি
তোমার দিচ্ছে
তোমায় নাড়া,
ঝঞ্ঝা যেমন
শিকার করে তাড়া।
উজাল চিন্তা করবে
তোমায় তিরস্কার,
রবি কখনো কখনো যেমন পায়
তিরস্কার শীতের ঘন কুয়াশার।


৭)
মন নিয়ে কারবার
তবে কেন
চিরবিদায় প্রেম অনুভূতির
অবাক মমতা ও ভালোবাসার
তোমার নীড়টা খালি হবে জান,
খুড়কুটা সব পড়বে ঝরে, মান?
মায়াবী  হাসি দিয়ে তোমায় ছেড়ে যাবে,
শীতের হিমেল বাতাস এসে
সব কষ্ট, আবেগ,ব্যথা
সকল পাতার শিশির ঝরাবে
তোমরা দেখো,
আর তখন বলবে,
আমিন আমিন আমিন।