মোঃ সোহাগ প্রামানিক (উত্তরের পথিক)

১) কৃতজ্ঞতা তোমার জন্য
সবকিছুর জন্য জানাই ধন্যবাদ তোমায়
হৃদয় উৎস থেকে কম্পিত আবেগের তরে,
অশ্রুর তিক্ততা এবং বিষের চুম্বন আর
শত্রুর শোধ ও বন্ধুর কুৎসাতেও যা ঝরে;
হৃদয়ের যে উত্তাপ সহসা হারিয়েছে মরুতে,
প্রবঞ্চনা যা ঘটেছে এই জীবনের তটে,
খুঁজতে যেয়ো না কোন কারণ শুরুতে,
ধন্যবাদ দিয়ে যাবো তা ছাড়াই অকপটে
সবার আগে কৃতজ্ঞতা জানায়
সবার মওলা আল্লাহকে
সত্যি,জীবনটায় যেন কৃতজ্ঞতায় ঘেরা।।


২) ফেরেশতা


মাঝরাতে আঁধার ফুড়ে উড়ে চলে ফেরেশতা
আর অস্ফূটস্বরে গেয়ে উঠে
মহান আললাহর এক গান,
চাঁদ, নক্ষত্ররাজি আর মেঘেরা সব সহমত,
সে দৈব গান শুনতে করেছে ঐকতান।
জান্নাতের নিষ্পাপ আত্মাদের কথা
গানে গানে বলে সে নন্দনকাননে
পরম করুনাময় আললাহর
অপার মহিমাও যথা
প্রকাশিত হয়
তার সুললিত বয়ানে।
দুঃখ ও ক্রন্দনের উপত্যকায় সে
বহন করে আনে
এক নবীন প্রাণ,
যে স্মরণ করে
সেই গানের কথা আজো
তার রেশ অবারিত হৃদয়ে
আজো বহমান;
সে গান ঘুরেফিরে
দিবারাতে পৃথিবীতে
পূর্ণ করে অপূর্ব তেষ্টা
দুনিয়ার একঘেঁয়েমির
সব গান তাকে হঠাতে
কখনও পারবে না
অধিকাংশ মানবও
সত্য ও খাঁটি বুঝতে অক্ষম।।


৩) সুখের পেয়ালা


পান করি মোরা
আললাহর অমীয় ধারার পানি
পিপাসিত পেয়ালা থেকে
একটু সুখের
একটু আরামে
একটু বিখ্যাতের তরে।
সবার সুখ হারাম করেও
আমার সুখের পেয়ালা চাই
সদাই মোদের
দু’চোখ বন্ধ করে,
পেয়ালার সব
সোনালী কিনারা থেকে
নেমে আসা
সব অশ্রুতে চোখ ভরে।


জীবনের সেই
শেষ বেলাতে এসে
যখন চোখের
শেষ পাতাটা পড়ে,
জীবনের সব প্রবঞ্চনাগুলো
শেষদৃষ্টির সাথেই গিয়েছে সরে
তবুও মানবরা কেউ দেখে
কেউ অন্ধ সাজে


কেউ সজাগ চোখে
পড়লো যে আজ ধরা
সোনালী পেয়ালায়
সত্যি,  কিছুই যে আদৌ নেই,
স্বপ্নের ঘোরে
পান করেছি তাতে সুধা,
কিন্তু সেসব – স্বপ্নের আবেশেই।
প্রকৃত সুখ
খোঁজ মানবের
ও মানবের মওলার
ভয় আললাহর
দীদার কামনায়
অসীম আকাঙ্খা ও ভালোবাসার।।