কবিদের আত্ম সমালোচনা ও কিছু কথা
মোঃ সোহাগ প্রামানিক (উত্তর পথিক)


১)
সমাজ চুপিচুপি এসে বলেছিল
আমায় নিয়ে কবিতা লিখ,
লিখলাম  অনেক কবিতা
সফল মনে হয় হলাম না।
চাপাবাজী, নোংরামি,বাঁদরামি
পরিবার পূজা,
হালুয়া রুটি ও পা-চাটার
কবিতা মোর কলমে বের হয় না।
সমাজ কখনও কখনও,
এমন কবিতা ও কবিদের কদর বেশি করে,
আমার দূবলতা দেখে,
সমাজ হেঁসেছিল।
আমি কেঁদে ছিলুম,
মনে হয়,
আমার কোন দোষ ছিল
সবাই সবার মত হতে পারে না।।


২)
একে একে সবাই
এসে বলল,
মোরে বারে বারে
তাদের মধ্যে তীব্রভাবে,
ব্যাকুল করল মোরে।
ক্ষনে ক্ষনে বারে বারে
নারী-পুরুষ, প্রেম, অনূভুতি,
ফুল, পাখি, সাগর,নদী
আকাশ, চাঁদ, সূর্য
মানবতা, গনতন্ত্র,
দেশ,সাম্রাজ্যবাদ,আগ্রাসনবাদ
ধনী,গরীব, একক দলের আধিপত্য,
উন্নয়ন আর উন্নয়ন,
কিছু সুখ,
কিছু বৈষম্য,
কিছু কিছু বেদনার চরিত্র,
কিছু কিছু খলনায়ক,
ইহকাল পরকালের,
ধম উপদেশ।।
নিরুপায় হয়ে
কাউকে নিরাশ না করে
আললাহর নাম নিয়ে
লিখলাম কিছু কবিতা,
বাস্তবতার নিরিখে।


৩)
তারপর
একের পর এক
তারা অবসর নিল—
পাগলের মতো খেপে উঠল
এই গরীব করির ওপর
কারণ আমি তাদের জন্য
যথেষ্ট ‘জনপ্রিয়’ নই।
অথবা আমার কবিতায়
বাবাবাজি,তেল সামাতি,প্রসংসার ফুলছড়ি
নিয়মমাফিক ভুতুড়েপনার অভাবের প্রতি।।
খানিকটা ঘৃণায় কাতর হয়ে
সবাই বিদায় নিল।
সকলের তীব্র ধিক্কার
আমি গরীব,
আমি আনকালচারড,
আমি গেঁয়ো,
কেউ কেউ
এলিয়েনও বলে,
কবির কান্না
আল্লাহয় সমাধান দেবেন।।


৪)
শেষবারের মতো
আরও একবার
আসমান থেকে
নারী আর পুরুষ
এল
আমার কবিতার সঙ্গে
থাকবে বলে।
আরও একবার
তারা জ্বালাল আগুন
গড়ে তুলল ঘরবাড়ি
বানাল রুটি
ভাগাভাগি করে নিল।
আলো সূর্য মাটি কাদা কাঠ
এবং ভালোবাসায়
বিদ্যুতের ঝলকানির সঙ্গে
আংটির সঙ্গে
যোগ দিল।


৫)
এবং এখন:
ভদ্রমহোদয় ও জ্ঞানীগণ
দোয়া ও সালাম গ্রহণ করত
গোস্তাকি মাফ করবেন
এই আত্মসমালোচনা থামানোর জন্য।
কেননা আমি নিজেই চলে যাচ্ছি চিরতরে—
ওই সহজ সরল সুন্দর
সাধারণ মানুষের
সঙ্গে চিরকাল থাকার জন্যই।
আমি সত্যি ঋণী মহান
একমাত্র আললাহর দরবারে
এই গরীবকে কবি বানিয়েছেন বলে
আমিন আমিন বলে বলে।।