কবিতার নানা কথা ১
মোঃ সালেহ উদ্দিন প্রামানিক (উত্তরের পথিক)


কবিতা আসে
নানা বয়সে
নানা যুক্তিতে
নানা রঙে
নানা মতবাদে
নানা রসে।।


অজস্র কবির কবিতা এসেছিল
মানবতার খোঁজে
আমরা জানতাম না,
জানতাম না কোথা থেকে
শিশুকাল না কি নদী থেকে,
কিভাবে কখন জানতে পারি নি,
না, কোনরকম শব্দও শুনিনি,
নিশব্দও না।।


বস্তির রাস্তা থেকে কবিতারা ডেকেছিল,
পুড়তে পুড়তে,
ভয়ঙ্কর আগুনের হলকায় হুটোপুটি করতে করতে,
রাতের ডালপালারা ডেকেছিল ইশারায়ঃ
ভিড় থেকে দুরে সরে যেতে বলেছিল
আমার তখন কোন চেহারাই ছিলনা
কিন্তু কবিতা ঠিক ঠিক আমার
চেহারাকেই ছুয়েছিল
জানতাম না ঠিক কি বলতে হবে,
আমার মুখে নাম ধাম তেমন আসেনা,
চোখ তখন অন্ধ।।


মনের ভেতরে কেমন একটা তোলপাড়,
কবিতারা জ়্বর জ্বর ভাব য্যনো পথ হারানো ডানা-ভাঙ্গা পাখি,
কিন্তু ঠিকই পথ বের করে ফেলেছিলাম
ঐ ভয়ঙ্কর আগুনের গোপন সংকেতের
পাঠ শিখে নিয়েছিলাম।।


কবিতার প্রথম অস্পষ্ট লাইনটি
হুট করেই চলে এসেছিল,
অস্পষ্ট , বড় কোন অর্থ নেই, কিন্তু খাটি,
আজ কবিদের কবিতার
আগামাথা নেই, বকুনি,
কিন্তু নির্ভেজাল শব্দ চয়ন
নানা ঋতুর কীতনে আর কি!!
মনে সব কবিরা
হঠাত জান্নাত  
দেখে ফেলেছিল,
জান্নাতের দুয়ার খুলছে
আর বন্ধ হচ্ছে
তারারা পিট পিট করছে
ছায়ারা ছিড়ছে খুড়ছে
ছায়াতে, তারাতে
তির ধনুকে, আগুন
এবং ফুলদের ধাঁধা


কবিতা আর কবিরা
আজ রাত আর পৃথিবী এলানো বিশ্রামে
এবং মানবের অস্তিত্বের শেষ নেই,
মহান তারাদের শুন্যতায়
মাতাল,রহস্যের ছবি ও ছায়ায়
নিখোজ নিজের ভেতরের গোলক ধাধায়
আজ আকাল ত্যাগী কবিদের
পাওয়া যায় না।।


আসল কবিরা সবসময়
সুনামের জন্য নয়
তাদের ভাতের কষ্ট,
পরিবার ছাড়া,জেলে যাওয়া,
রোগে অসুখে ধুঁকে ধুঁকে মরা,
রাস্তায় লাশ হয়ে পড়ে থাকে
তবুও অন্যায়ের সাথে আপোষ নয় কখনও
এমন দেখা যায় না
কিন্তু খাটি কবি আছে
বাদলা বাতাসে তারাদের মেলায়
গনতন্ত্রের জন্য
দেশের জন্য
মানবতার জয়গান সদা আজও।