সত্যিকারের কবির অভাবে বাংলাদেশ
মোঃ সালেহ উদ্দিন প্রামানিক (উত্তরের পথিক)


কবিরা বা
সাধারণ মানুষের
স্বপ্ন ছিলো
ঘুমঘোরে মিথ্যার স্বপ্ন
কখনও সত্যি স্বপ্ন।।
আমাকেও দেখিয়ে ছিলো
বাষ্পরুদ্ধ চেহারা সবার
পাখির বিলাপে ঘৃণায় ভরা
ঘোরলাগা গ্র‍ামের কুটিরে
শহরের ইটের চারদেয়ালে
একটি বালকরুপী কবি
শুধু শুনেছিলো
নদীর রোদন
মানবের আহাজারি।।


এখন সে পাড়ি দেয়
সীমাহীন দূযোগে
পানিতে- স্থলে  
চারিদিকে দিশেহারা  চোখে
মায়ার কাজলে
ভেজা দৃষ্টি তার
ক্লান্তির রুমালে
মুছে নিয়ে ঘরে এসে
দেখে কেউই অপেক্ষায় নেই তার
বাস্তব জগৎ
মানব সংসার
বিচিত্র ভাবনার বহিঃপ্রকাশ।।


তার এই৷ দেশে ঠাঁই নেই
নিরুপায় কবি  বিপাকে
কালেভদ্র‍ে উড়ে আসা।
চোখ শুষ্ক বার বার পড়ে
এক নদীর কিনারে।
কে যেন ফিসফিসে বলে
দাঁড়াও পথিক বর,
পত্র‍হীন অশ্বথের শাখা।
নড়ে উঠে বোঝায়
সে  কারোঅতিথির অনাত্নীয় নয়।
যদিও চুড়োয় বসে নিঃস্ব এক শুকুনী নিজেই
নিজের পালক ছিঁড়ে উদরের অনল নিভায়।


একটি সমাধি তাকে
বাশঝাঁড়ে ইশারায় ডাকে
আকস্মাৎ দৃষ্টি তার মর্মভেদী
মাটির অতলে
দেখে সে চেহারাসেই
বাষ্পরুদ্ধ বেদনার নদী
মৃদু শব্দের কাব্যিকতায়
ভরে গিয়ে
এতদিন কোথায় যে ছিলে
শেষ অনুযোগ নিয়ে
মুখে যায়
মাটির নিবিড়  মায়ায়।


দলের কবি
দালাল কবি
বাবা ভক্ত কবি
টাকার গন্ধের কবি
ধাপ্পাবাজ কবি
এদের সপ্ন থাকে না।।
হয়তো-বা স্বপ্ন দেখে
নয় হয় কোন মিথ্যার ম্যাজিক
একদা আমাদের দেশে ছিলো অনেক কবি ও
আজ কবিতার আজব দশ,
ঠিক ধষনের শিকার নারীর নয়ন।
দেহের ভিতরে
কবির চারিপাশে
ছিলো প্র‍েম,স্বপ্ন,
আত্নার আদেশ।
কিন্তু আজ ভিসার
বিপাকে পড়ে
ফিরে আসা সব পাখি।
খুঁজে ফেরে পত্র‍পুষ্প
ভরা কোন উদ্যানের ডাল।
বিহনে ভরা আগাছা
দ্যাখো নদী শুষ্ক, গুল্মহীন মাটি।।
কেবল উঁইয়ের ঢিবি।
কিছু কবির বৃষ্টিহীন পরাজিত মেঘ
ব্র‍জ্র‍ের আওয়াজ তুলেও
মিলে আওয়াজ
মিথ্যার আওয়াজে
ফিরে যায়
দিগন্তের দিকে
নব নব ভাবনার কাব্য চয়নে।।