আমি আজকালের ঠুনকো কবি ,
জানি না কোন ছন্দ
জানি না কোন নিয়ম নীতি ,
আমার জীবন ভর্তি কলঙ্ক স্মৃতি।
আমার কবিতা ব্যাকরণে বাঁধতে চায় না
নকল করার কামনা করে না ,
সানন্দে আত্মতৃপ্তিতে লিখে যায়
তবুও অনাহার আর বিনা বেতনে
বাংলায় কলম ছাড়তে হয় ।


“আজকাল কবি হয়ে উঠতে
তেমন কোন যোগ্যতার দরকার হয় না ,
দরকার হয় কেবল জনপ্রিয়তার ।
দু চার পাতা লিখলে আর
দুচারটে সামাজিক কাজ করলেই
লেখক , সাহিত্যিক হওয়া যায় ।”
তাই বুঝি?
আচ্ছা, এই অভিযোগ স্বদম্ভে স্বীকার করি ,
কারণ আমি আজকালের ঠুনকো কবি ।


তোমরা বিরহে চাও রবিঠাকুর
বিদ্রোহে চাও নজরুল,
আবৃত্তিতে খোঁজ সব্যসাচীকে
প্রকৃতি প্রেমে মাতো জীবনানন্দের কল্যাণে ।
তোমরা বলো” জন্মাবেনা আর কেউ তাদের মতন ।”
সভ্য সমাজে নিজেদের রুচির পরিচয় দিতে কি পারবে  সমালোচকগণ ?


আমি আজকালের ঠুনকো কবি ,
ইংরেজি সাহিত্যে আজ অবাধ বিচরণ করি ,
প্যালেস্টাইনের বাসিন্দা হয়ে
বেশ ভালোই আছি ,
তবুও মাইকেলের মতো মনটাতো বাংলার,
তোমাদের রুচিবোধের ভীরে
হাজার শতেক সমালোচনা সয়ে
পারি দিলাম ইংরেজ সভ্যতায় ,
তোমরা বরং ব্যস্ত থাকো
ঠুনকো কবির পদবি দিতে ,
আর ওদিকে এভাবেই প্রসিদ্ধ হোক
ইংরেজী সাহিত্য সম্ভার ।