এক ঝলসে যাওয়া হৃদয় কানের কাছে এসে
কত স্বপ্ন খুঁজে, নীরব হয়ে সেই মুখ আরেক পাখি বুঝে।
হৃদয় তাহারো বেদনায় ছিলো নিশ্চয়,
তবুও সে আঘাতের তরে যায়নি নিজের খোঁজে।
চেয়েছে শুধু ঝলসে যাওয়া হৃদয় খানাকে যেন বোঝে।
কত জায়গায় নিরিবিলি এই দুই পাখি হৃদয়ের গভীরে গিয়ে বসে।
কত শত ব্যথা যেন আকুলতায় ভুলে যায়।
ক্ষণিকের হৃদয় ভাঙার তীব্রতা তারা জানে।
পরম যত্নে দুজন দুজনায় মিশে যায়।
হয়ত এর শেষ আজ কিনবা কাল,
তবু তারা মুক্ত হয়ে যায়।
হৃদয় হরন কাহারে বলে তবে সেই পাখি বুঝতে চায়নি।
সে নির্বাক হয়ে শুধু ভাবে ওই ঝলসানো হৃদয় তাকেও একটু পড়ে নিক।
সে কই আর পড়ে, তাহার হয়ত সেই হৃদয়ের শক্তি ই নেই কাছের করে নেবার।
হারানোর ভয় ও তার হয়ত নেই।
শুধু সাময়িক সুখের আশাই কেবলি হয়ত সে করে।
একদিন সেই দিন আসিলো খুবই তাড়াতাড়ি, পাখি বলিয়া উঠিল তাহার হৃদয় সকল ভাবনা ছাড়ি।
বুঝিল না হৃদয় খানা বলিবার আগেই প্রস্থান করিলো।
কত শুধাই না স্বপ্ন হয়েছিল হৃদয়ে তবুও সব ক্ষয় হয় হঠাৎ করেই।
সেখান থেকে,
এই শুভ্র সমাপ্তির উদয় হল সেখানেই!
পাখি চেয়েছিল শুনিবে সে হয়ত! বুঝিবে সে হয়ত! কেউ বুঝিতে চাহিলে তারে বুঝাইয়া দেয়া যায়।
না চাহিলে তাহারে আর কোন ভাষায় খুঁজতে হয় তাহার জানা নেই।
কি সে বলিবে! কিছু নেই বলার!
রক্তজবার মত হৃদয় রক্তাক্ত তবুও তার মুখ চুপ
যেন কোনো অনুভুতী হীন সে।
ভাবেনি যাহা তাহাই ঘটে গেল নিভৃতে।
এক কুয়াশায় ঘেরা সকাল দেখা হবার আগেই সে এক রক্তমাখা সূর্য হয়ে ডুবে যায়।
পাখিটা ওই ভাবনা দেখিয়া কথা দেখিয়া আর সাহস করেনি
কেউ বুঝলনা তাহারে।
বিষাদ ভুলিয়া গোপনে সে কবরে যাবে একদিন সব আশা নিয়া।
কত অপমান আর ভুল বুঝে শুনা অবহেলার সুর তার বন্ধ হবে শুনা।
আর সাহস করিয়া কাহারে বলিবার হইবেনা পথ গুনা।