(( সকলের প্রতি অনুরোধ রইল কবিতাটা পড়ে যেন কেউ ভুল না বুঝে। নির্যাতীত নিপিড়িত বঞ্চিত শোসিত মানুষের করুণ আর্তনাদের অভিমানের আহাজারি অন্তরে উপলব্দি করতে গিয়েই এই কবিতা লেখায় অনুপ্রাণীত হলাম।
টুটুল))


বিশ্বাস
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


পৃথিবীটা চাওয়ার জায়গা বলেই
মানুষ তোমার নিকট চায়,
ক্ষুধা নিবারণে একমুটো অন্ন চায়,
তৃষ্ণা মিটাতে পানের একবিন্দু তৃপ্তির জল,
ইজ্জতের সাথে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার,
সহজ সরল সুন্দর পবিত্র একটা জীবন চায়।।


চাওয়া পাওয়ার কামনা বাসনা তুমি
অন্তরে জাগ্রত করে দিয়েছো,
সৃষ্টির শ্রেষ্ট মর্যাদার ঘোষণা দিয়েছো,
অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী তোমার সর্বকালে,
ভক্তি সেজদার আরাধনা মানুষের ইবাদত,
কার ডাকে সন্তুষ্টি চিত্তে সামনে এসেছো??


নিজের উপর অত্যাচারে করি জুলুম
সবকিছুই দর্শণের স্বাক্ষী তুমি,
ফরিয়াদে দুইহাত তোমার দরবারে,
বিশ্বাসে নতজানু হয়ে স্বীকৃতি দেয় মানুষ,
স্রষ্টা মনিব পালনকর্তা রক্ষাকর্তা চিরদিন,
কৃতজ্ঞতার সাথে অনন্তকাল তোমার অধীন।।


মানুষের বিশ্বাসের মর্যাদা যদি না দিবে
তবে কেমন দয়ালু মহান তুমি?
চরম বিপদে যেজন অনুগ্রহের করুণা চায়,
অসহায়কে উদ্ধার করে দিলেনা পরিত্রাণ,
নির্মম নিষ্ঠুর পাষাণীর ন্যায় আত্মগোপন,
শান্তণার আশ্রয়ে ভাবিয়াছে ভরসার সম্বল।


একি অনাসৃষ্টি তোমার লীলা খেলায়
অদৃশ্যে অস্তিত্ব ঢেকে নিরাকারে,
তবুও অপূর্ণ রাখিয়াছো মানুষের আশা,
বিশ্বাসের প্রতিদান যদি মানুষকে কাঁদায়,
তবে কেন তোমার নাম নিতে বল জগতে,
কেন রাখবে অনন্ত অসীম প্রভু অন্তরে পুষে??