মনের বাগিচায় যবে ফুটেছিল যৌবনের কলি,
সেই থেকে আজো মৌবনে নেচে বেড়ায় অলি।
রিক্ত শাঁখায় দখিনা পবন দিতেছিল শুধু দোল,
ঘুমটা ছিড়ে ফুল কুমারি সুভাষে করিল আকুল।


ফাগুনের বসন্ত রাঙ্গা সবুজ বনে আনন্দে কোকিল,
নিদ্রা ভাঙ্গিতে নয়ন পাতায় মারিল স্বপ্নের ঢিল।
অন্তরে গাঁথিয়া মিলন মালা শিউলী আর বকুলে,
প্রেমের কাননে অভিষারে কে যত্নে পরায় গলে?


শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি শুনিয়া কান পেতে,
প্রণয়ের বাঁধন বিশ্বাসের নীড়ে রাখিলাম হাতে।
মলিন পাঁপড়ি সুভাষবিহীন বিঁধিল বিঁষাক্ত কাঁটা,
জীবনের উজানে সাঁতার কাটিতেই পড়েছে ভাটা।


অকুল দরিয়ায় অতলে ডুবি স্রোতের নেই কূ্ল,
প্রভাতে ফুটিয়া গৌধূলিতে ঝরিয়া যাওয়া ফুল।
রচিত কানন কোলাহল মুক্ত ফুলের অভিমান,
মিষ্টি মধুর সুরে নেই এখন আর পাখির কলতান।