বিশ্বাস ভক্তি প্রেম একাধারে তিন,
আল্লাহ ঈশ্বর হরি হয়েছে বিলীন।
সত্তার বন্ধনে নিবিড় আলিঙ্গণ যেথা,
তপস্যার আরাধনা যায়না কভু বৃথা।
সাধনায় ধ্যানে মগ্ন অন্তরে যে আসন,
বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড দেখে বন্ধ করে দুই নয়ন।
পৃথিবীর যে প্রান্তেই চরণ ফেলে হাঁটে,
অঙ্কিত পদচিহ্ন সঞ্চিত হৃদয় কপাটে।


যে যাবার চলে যাবে বেঁধে রাখা দায়,
মিলনের মহাসুখ বিধির নসীব লেখায়।
অন্তহীন ভাবনার তরঙ্গ উজান স্রোতে,
কে আপন কে পর জীবনের গতিপথে।
সুখের নীড়ে কত প্রতিবেশীর বসবাস,
দুঃখের বাদামে দিতেছে প্রবল বাতাস।


যন্ত্রণার আঘাতে ভাঙ্গিতে জীবন কুল,
কলঙ্কের জ্বালাতে সাজায় কাঁটার ফুল।
সান্ত্বনার মর্মবাণী অপমানের তীব্র কথা,
নিন্দা ঘৃণার ছলে ভুলেছে সত্য মিথ্যা।
হতাশার বালুচরে অসহায় ক্লান্ত পথিক,
পাষাণ মরুতে ছুটে চলেছে দিগ্বিদিক।


শীতল পরশ পেতে ভরসার ছায়াতলে,
সম্পর্ক আটকানো অতীতের মায়াজালে।
স্মৃতির জানালা খোলে দর্পণে নিজেকে,
অস্তিত্বে শিকড় গাঁথে অতৃপ্ত আশা বুকে।
অন্তবিহীন প্রেমে বিরহ ব্যথার আঘাত,
প্রিয়জন কাছে পাবার খুঁজে কি অজুহাত?
অবুঝের শূণ্য হাতে মানুষ দিয়েছে ধোঁকা,
আত্মবিসর্জনে ভালোবেসে কাঁদে বোকা।