গ্রাম আমাকে আহ্বান করে নিরন্তর
যেখানেই থাকি খুঁজি সেই পথ প্রান্তর।
যখন-তখন গ্রামের পথে ছুটে যেতে চাই,
যেখানে সারা দিন কাটে তরুছায়ায়।


ভোরে ঘুম ভাংলে পাখির কলরব শুনতে পাই,
ঘুঘুর ডাক শোনি বেলা যখন বেরে যাই।
প্রশান্তিময় হাওয়া এসে গা জুড়িয়ে যাই,
বাড়ির দক্ষিণ-পূর্বের নিমগাছটার তলায়।


শীতকালে গ্রাম যখন ধূসররূপ খুঁজে পাই,           ধানক্ষেত গুলো ঢেকে যায় ঘন কুয়াশায়।
আকাশের লাল রং ছুয়ে পাখি উড়ে যাই,
প্রতিদিন গৌধুলি মাখানো সন্ধ্যা বেলায়।


গ্রামে রয়েছে নানা চেনা-অচেনা ফুলের সমাহার। ঘাস্ফুল থেকে জংলি গাছে ফোটা নানা পুস্পের বাহার
গ্রাম মোরে সবুজের সতেজতায় ভরে দেয়,
দেহমনে  উদ্যম প্রাণচঞ্চলটা ফিরিয়ে দেই।


গ্রামে গেলেই হয়ে যাই বড্ড বেশি ভবঘুরে,
সময় কাটে বন্ধুদের সঙ্গে শুধু এদিক ওদিক ঘুরে।
গ্রাম মোরে দেয় সস্তি,দেই যান্ত্রিক জীবন থেক মুক্তি,
থাকে অনিয়মিত অন্ন গ্রহন,যা মানেনা কোন যুক্তি।


শিকড়ে ফেরার আনন্দের কাছে সব আনন্দ হারে,
প্রদোষকালে নীড়ে পাখি যেমন স্বস্থিতে ফিরে।
গাঁয়েই আমার সবকিছু,যতদূর যাই যেখানেই,
আমার রক্তের সম্পর্কের আত্বার মানুষগুলোর চাঁদের হাট সেখানেই।


রচনাকাল :
০৪-০৯-২০১৭