কার্যত যিনি কবিতা লিখেন, তিনিই কবি
কবিতা তো অন্তর্লোকের গহিনতম সীমানা পেরিয়ে যাইতে প্রেরণা জোগায়;
কবিতা যদি নিঃসীম অন্ধকারে আলোর পথে লইয়া না যায়, সেটা কবিতা না!  
যাহা নিসর্গ-প্রকৃতি আর মানব-প্রকৃতির সহিত
রহস্যমধুর সম্পর্ক রচনা করে, মানুষ আর মানবীয় আবেগের কথা বলে,
সেটাই তো কবিতা!


কবিতা দেই স্বস্তি , শান্তি,, জ্বালায়, পোড়ায়, কাঁদায়, হাসায়,আবার কখনও ভাসায়;
যাহার কবিতা  সমাজ ও মানুষের কাছে, প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের কাছে দায়বদ্ধ করিয়া তুলে না,
সে কবি না!
যে কবিতার চুল, কপাল, ভুরু, চোখের পাতা ও পাপড়ি দেখে আর দিওয়ানা হইয়া যাই,
সেই তো কবি!


কবিতা মানব-সংলগ্ন করে,একাত্ম করে মাটির সহিত;
যাহা পাঠকের হৃদয়ে গিয়া একটা ঘোর সৃষ্টি না করে,
সেটা কবিতা না!
যাহা সময় ও সত্তার স্বাতন্ত্র্যে বদলে দেই তাহার মায়াবী মুখ আর সময়কে  দৃপ্ত ভঙ্গিতে খামচে ধরিয়া নেই,
সেটাই তো কবিতা!


কবিতা মধ্যরাতেই নিস্তব্ধতায় খুব যত্নে আসে চুপিসারে;
যে নির্ঘুম নিশিতে বিস্মিত হইয়া তাহার গায়ে
আলো-ছায়ার খেলা দেখে না,
সে কবি না!
কবিতার বুকের অলৌকিক সৌরভ আর তাহার প্রেম  যাহাকে মাতাল করিয়া তুলে,
সেই তো কবি!


মানুষের সংগুপ্ত সংবেদনা ও উন্মুক্ত সংগ্রাম কবিতার অন্তরে বৃষ্টিজলের মতো ঢুকিয়া আগ্নেয় লাভার মতো বিস্টেম্ফারিত হয়,
তখুনি সৃষ্টি হয় কবিতা!
আর প্রকৃতি জন্ম দেই একজন বেপরোয়া কবির!!!