আমার হৃদয়ে গন্ধরাজের স্নিগ্ধ সুভাস তুমি
তুমি অদম্য নীল অপরাজিতা,
একবার উপহার চেয়ে বলেছিলে হেসে,
“আমায় নিয়ে লিখনা একটি কবিতা “
আমি কবি নয় তবু লিখবো কিছু পংক্তিমালা,
বাতায়ন খুলে সাজিয়ে দিব হাজার তারার মেলা।


জানো আমি ভালবেসে তোমার নাম দিয়েছি অনুশ্রী,
কারন এই ধরনীর বুকে তুমি ই যে সর্বাপেক্ষা সুশ্রী ।
তুমি কি জানো  অনুশ্রী?
তোমার ভুবন মোহিনী হাসিতে মেঘেরাও থমকে তাকায়!
হীরা-মুক্তা ঝরে পরে তোমার প্রতিটি হাসির কনায়!!!
তুমি অবনীর বুকে যেন একটি গোলাপ ফুল,
তোমার মোহনীয় সৌরভে মন মুগ্ধতায় আকুল।
তুমি সমস্ত রূপের শ্রেষ্ঠ বাহার, নেই কোন ভূল
সত্যিই তুমি সদ্য ফোঁটা একটি গোলাপ ফুল।


তুমি লজ্জাবতীর লাজ, ফুলশয্যার সাজ,
ধ্রুবতারার আলো,
নক্ষত্রের অজস্রতার মাঝে তুমিই আমার হৃদয়ে
সুখের প্রদীপ জ্বালো।
কখনো তোমার  অভিসার অলৌকিত সিগ্ধতায়
এই হৃদয় ছোঁয়ে যায়,
অসহায় চিত্ত আমার স্বপ্নীল সন্ধানে বার বার
তোমাতে হারায়।


অনুশ্রী তুমি কি জানতে চাও, কেন আমি এত বেপরোয়া?  
আমার তৃষ্ণা যে অমিত , তাই আমি হয়েছি অবাধ,
নিষেধের বেড়াজাল ভেঙে নিতে চেয়েছি প্রেমের সাধ।
আবার দুরন্ত স্রোতের মত, দিগন্ত রেখার টানে,
ছুটে গিয়েছি অস্পৃশ্য সীমাহীন মরীচিকার পানে।
জানো অনুশ্রী ---?
আমার হৃদপিন্ডের একটি বরফের মহাখন্ড,
তুমিহীনা মরুতপ্তে হবে মহাপ্রলয়ের লন্ড-ভন্ড।
এখন আবার জানতে চেওনা প্লিজ, ভালোবাসার উদেশ্য কি ---?
আমি তোমাকে উদেশ্যহীন ভাবে ভালোবাসি
জানি তুমি আমার অন্তরংতাই, আবেগ ঘন স্পর্শকাতরতায়, বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত নও।
বরং তুমি বারংবার স্পন্দনদিত হও!!!
তবু আমি অতটা অশান্ত হবোনা,
দুরেই থাকি,কখনো কাছে যাবনা ভালবেসে,
ভয় হয় আমার উষ্ণ স্পর্শে যদি তুমি ছাই হও শেষে!!!


রচনাকাল ঃ ২৮-০৯-২০১৮