তোমারই জন্য অনন্তহীন এই অপেক্ষা,
কেন  তা তুমি কি জানো?
আমি জানি কোন একদিন তুমি আসবেই
তাই অপেক্ষা করে যাই তোমার জন্য
নিজেকে প্রস্তুত করি সর্বোচ্চ সতর্কতায় আর যত্নে,
যেন তোমার আগমন হয় নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে।


আমি জানি তুমি আসবেই
আমারই মত তুমি ও যে অপেক্ষায়
কোন এক সুশ্রী, সুকেশিনী রাজকুমারী  প্রতিক্ষায়
তাই লম্বা চুলগুলো বেধে রাখি,
নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখি,  
যেন তোমার মনের আয়নার সামনে
নিজেকে দাঁড় করাতে পারি।

আমি জানি তুমি আসবেই
আমার এই গোলাপি ঠোঁটে,
তোমার সংক্ষায় ভরা  চুম্বনে রংধনু একে দিবে।
আমার ঘন নিঃশাস তোমায় মাতাল প্রায় করে তুলবে।
তুমি আমার চোখের পানে চেয়ে  গভীর
ভালবাসার  নিমন্ত্রণ জানাবে
কাপতে থাকা হাত দুটো শক্ত করে ধরে
অজস্র বার ভালবাসি বলবে।


একদিন তুমি নিশ্চয়ই আসবে
আমরা যে উদগ্রীব একে অপরের দেখা পেতে
চোখে চোখ রেখে মিষ্টি, নির্ভরতার একটি হাসি
অথবা আঁকড়ে ধরা হাতের একটি আঙুল, নিয়ন আলোয় দুজনের পথ চলা কিংবা
ঘুমের মাঝে ধুকপুক করতে থাকা হৃদস্পন্দন
সবকিছুই তোমার আগমনের অপেক্ষায়।


আমি জানি তুমি আসবেই
আমাদের দুজনেরই অপেক্ষা যে বহু শতাব্দীর
থাকুক না কেন পথে অসংখ্য বাধা আর বিঘ্নের দেয়াল
আস্থা রেখো আমার ওপরে, আর ভালবাসায়
সমস্ত প্রতিকূলতায় আমি তোমার ভরসা হবো
পাশেই পাবে আমাকে, চোখ বন্ধ করলেই
তোমার অনুভূতি সঞ্চারিত করবো।


আমি জানি তুমি আসবেই,
তাই যখন নীল ধ্রুবতারা জাগেনি ঘুমন্ত ঘড়ির পানে চেয়ে বসে অন্ধকারের প্রতীক্ষায় দিন কাটায়। অগোছালোতা সন্ধ্যার স্তব্ধতাটাকে গ্রাস করছে।
একে একে সবাই চলে গেছে- ঘুম ভাঙানো সাইরেন, নীল পাড়ের শাড়িটা পরে
আমি তোমার পথচেয়ে বসে আছি।
যদি আমাকে না পেয়ে তুমি ফিরে যাও!


কোন এক বৃষ্টিস্নাক্ত রাতে, কিংবা জ্যোৎস্না  ভরা
নিশিতে তুমি এসেছিলে।
ভিজিয়েছিলে বৃষ্টি অজস্র ধারায়,
মুছে দিয়েছিলে জ্যোৎস্নার চাঁদোয়ায়।
এই সবি আমার কল্পনায়।
কত দিন হল বৃষ্টি গায়ে মাখায়নি,
জ্যোৎস্না  বিলাস করিনি
শুধু তুমি আসবে বলে।


আমি জানি তুমি আসবেই
পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর ও দৃঢ় বন্ধন আমাদের
আমি জানি তুমি আমার ডাক উপেক্ষা করতে পারো না।
পারো না নিজের ভেতরের আকুলতাকে
অস্বীকার করতে।
আমি অপেক্ষা করবো তোমারই জন্য।।
আমার অন্তহীন অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে
স্বপ্নের রাজকুমার তুমি আসবে,
আসতে তোমাকে হবেই।