তোমার প্রতিচ্ছবি আঁকা ঘুমহীন নিগড় চোখ
  আমাকে কল্পনাপ্রবণ করে তোলে,
অস্পর্শ অস্তিত্ব উন্মাতাল জোয়ার তুলে
তোমার স্পর্শীত দেহ আমাকে প্রলম্বিত করে।
সর্বাঙ্গ তোমার আমাকে সর্বক্ষন আলিঙ্গন করে
আমি এক জাদুর কাঠির স্পর্শে সঞ্জীবিত করায়
তোমার বক্ষস্থল কিংবা ললাট-দেশ, অজানা ঈর্ষায়
এক নিদারুণ দহনে হঠাৎ চঞ্চলতা ফিরে পাই।


জানো অপ্সরা?  ছন্দহীন জীবনে অপসৃত যাতনাও কখনো কখনো জীবনকে  প্রেমময় করে তোলে!
অপ্সরা তুমি কি এখন ঘুমিয়ে গেছ?
ভেবেছ কখনো?  কল্পনার অথৈ সাগরে নিমজ্জিত রাত কত টা গভীর হতে পারে?
অপ্সরা তুমি কি দেখা দিবে চাঁদ হয়ে?
যে চাঁদ মুখ ঢেকে আছে মনের আকাশে জমে থাকা কালো মেঘের আড়ে!
অথবা শীতের শিশির হয়ে ভোরের কুয়াশায়?
যে শিশির শুকিয়ে গেছে জৈষ্ঠ্যের প্রচন্ড ক্ষর তাপের  ভিড়ে!


তুমি ফিরে এসো পথহারা অতিথি পাখির মত
আমার নির্জলা ছাতির উষ্ণ আবেশ তোমার অপেক্ষায়
ক্ষণপ্রভার চমক নিংড়ে ছুঁয়ে দেখো সমুদ্র
সাঁঝের নীলাভ ঢেউ তোমার স্পর্শের প্রতিক্ষায়।