আমি এক মূল্যহীন কবি
সময়ের পাতায় কাব্য লিখে যাই,
জীবনটা নয় পুষ্পছাওয়া সরণি
অগ্নিময় রাহা অতিক্রম করে বহুদূর যেতে চাই।
আমি কবিতা লিখতে চাই
বেহিসাবি ঋণের বোঝা বাড়িয়ে,
আমি কাব্য রচনা করি
সমস্ত নোংরা গালি হজম করে।
পূর্ণ চাঁদের গল্প আকি  
তোমাদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে,
নষ্ট ফুলের ছন্দ  লিখি
প্রেমিকার সমস্ত আহাজারি ভুলে।


আমি তোমাদের মত নিদ্রা যাইনা
সহস্র শব্দের হাতছানি আমাকে জাগিয়ে রাখে,
আমি  সঞ্জীবনী কারজে মননিবেশীত নয়
যখন মস্তিষ্ক অজস্র পাণ্ডুলিপির নিভয় আড্ডায় মত্ত।
আমার মেটে রঙ কফ
তবুও স্মৃতিবিভ্রম খাতাকে পরায় রত্নহার,
আমি প্রচেষ্টারত
ব্যর্থ করতে সব নিন্দুকের বাক্যঝড়।
আবার ও ভাবি কি হবে শব্দ বুনে!
কবিতা কি ক্ষুধার্ত পেটে ভাত দেবে?
বুটের আঘাত কিংবা বুলেটের নির্মম ঝংকারে
কবিতা কি বুক চিতিয়ে দাঁড়াবে?


অতঃপর ভাবি আমি পাপী, অনিষ্ট কারী
আমার পদ্য রাষ্টো সমাজের জন্য হানিকর,
তবে আমাকে নির্বাসন দাও
আমি বহমান সংবিধানের জন্য ক্ষতিকর।
তবু আশায় আমি শব্দ ভেঙ্গে, শব্দ গড়ে যাব
হয়তো কোনো একদিন শব্দের ক্রোন্দলে
পাথর বুকে আঘাত হানবে,
ঘুমিয়ে থাকা বুকে দ্রোহ জাগাবে
পাপিষ্ট এই শরীর আমার ভালোবাসায় ভাসবে।