এই যে বর্ষা নামে— ধীরে ধীরে, নিঃশব্দে, কোনো পাখি ডাকে না; তবু জানলার ধারে বসে আমি শুনি তোমার নাম— একটি হারিয়ে যাওয়া প্রতিধ্বনি।

তুমি জানো না, গোলাপি— এই কদম ফুল, যা ফোটে আষাঢ়ের নরম বাতাসে— তার প্রতিটি ঘ্রাণে আমি খুঁজি তোমার কপালের এক বিন্দু ভেজা চুল।

তুমি আসো না— তবুও প্রতিদিন সন্ধ্যার ছায়ায় আমি গড়িয়ে পরি— এক বৃষ্টিধারা, শুকনো পাতার মতো নিঃশব্দ।

তোমার স্পর্শ নেই বহুদিন— তবুও প্রতিটি ভেজা দুপুরে আমার বুকের ভিতরে জেগে ওঠে একজোড়া পাখনার শব্দ— তুমি, কেবল তুমি— নারী নও, এক টুকরো ঋতু; একটি কুয়াশার ভিতর হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা।

আমি বলিনি কখনো— তুমি হাঁটলে কদম-গন্ধ মেখে, আকাশে ভেসে যেত আমার নিঃশ্বাস— তুমি তাকালে, পুড়ে যেতাম আমি— একটি জীবনের মতো দীর্ঘ।

আজ— এই নির্জন বৃষ্টির রাতে, আমি শুধু চাই— তোমার পাশে দাঁড়িয়ে ভিজে যাই, শরীর নয়, জামা নয়— শুধু তোমার অভিসারে এক নিঃশব্দ ভালোবাসা হয়ে— চিরকাল।