গগনে জমকালো তুলো রাশি,
     বারি যে বলে "আসি আসি!"
ছিল ক্ষণ প্রভায় ঠাসা-
ঘন গহন, উঁচু বৃক্ষ,
    পাতা মোড়ানো মোর বাসা।
ধরিলো ফাটল, দিলাম হুংকার,
          না! এতো চিৎকার।
আঁখি খুলে দেখি তাহার মায়ামুখ,
যাতে লুকায়িত মোর সুখ-দুখ।
পক্ষীরূপে জনম,
             নয়তো কোন সাজা?
মায়ামুখ বলে, তা কেন বাছা?
তবে! হবো আমি আপন রাজ্যের রাজা!
উঠিলো সূর্য, লুকাইলো মেঘ-
দখিনা হাওয়া ছন্দ গাওয়া,
                              স্নিগ্ধ গতিবেগ।
তাই চেয়ে দেখি বারে বারে আমি,
কি অপূর্ব তুমি জননী!
যাহাই দেখি তাহার করতেছি গ্রাহ্য,
তবে কি এই ধরণী হবে মোর রাজ্য?
বলিলাম তাহারে,
         পেটে যে বড্ড ক্ষুধা-
জোগাবে কে মোর সুধা?
আমিযে তোমারি পরগাছা,
মায়ামুখ বলে,
     ধৈর্য ধর না বাছা!
একে একে,
কাটিল বহু ঝড়, পার হইলো বহুদিন,
হে প্রভু!
        জননীর কোলে ঠাই দিয়ে তুমি,
মোরে রাখিয়াছো মলিন।
বলিলাম,
কবে ঝাপটাবো দু'ডানা?
কবে থাকিবেনা কোন মানা?
বলিল,
       না! তাহারতো নেই কোন নীতি,
সময়ের দোলাচলে,
                      ডাক দেবে প্রকৃতি।
আসিল সে মহেন্দ্রক্ষণ,
ডাকিলো মোরে গগন।
ভেসে বেড়া মোর বক্ষ চিরে,
আর কতকাল? তোর মাতার নীড়ে!
দিলাম তাহার ডাকে সাড়া,
উড়িতে হইবে মোর জননী ছাড়া-
ডানা দিলো ঝাপটা, ছাড়িলাম প্রাচ্য,
আজ আমি রাজা,
         ধরণী মোর রাজ্য।
ঘুরিয়া দেখিবো ধরণী,
তাই, উড়িয়া গেলাম সসীমে-
জননী মোর,
              তাকিয়া হাসে অসীমে।
আজিকে পক্ষীকূল, হলো মোর প্রজা,
কে তুমি মহীয়সী?
                     লালন করিলে এ রাজা?


কেটেছে কতো ঝড়, কতো বিনিদ্র অবেলা,
জুটেনি তাহার আহার দুবেলা
শুনছো কি প্রভু?
তবুও সে মোরে,
             অনাহারে রাখেনি কভু!