সেই সব ক্ষীণ ঘোলাটে সুদিন তীক্ষ্ণ রাতে শেষ হলো,
অপেক্ষাতে আয়না আঁকে বায়না বেচার সুরগুলো।
বৃক্ষরাজি গাইছে আজই তক্ষশিলায়,
খয়েরী রঙের চড়ুই পাখি পাহাড়চূড়ায়।
বিশেষ কিছু আমার পিছু ঘুরে ঘুরে ক্ষান্ত হলো,
লাল দিঘীতে ভীষণ শীতে আড্ডাগুলো জড়োসড়ো।
কে-ই বা আছিস, কোথায় থাকিস, জানিস তোরা,
নিপাট স্রোতের যন্ত্রণারা মুখোশ পরা।


ঝুম আঁধারে ছন্দ টারে আদর করে মৌনতা,
অন্ধ রাতে অশ্রুপাতে মেঘবাদলের গল্পটা,
তাকায় কেন আমার দিকে ভস্ম চোখে সেই শালিক,
মাথার নিচে বালিশ কীসের? ক্যালেন্ডারে কয় তারিখ?
অদলবদল বাজছে মাদল, অনেক আলো,
ঝলসানো রাত, একরোখা হাত, সব ঘুমালো।
সপ্তদশীর অন্ধ শশী দু হাত ভরে কুড়োয় ঝিনুক,
আধ বাগিচার লাল গালিচায় অবুঝ শিশু খেলনা কিনুক।


এই প্রাসাদের বেশ ফ্যাসাদের রাজকুমার আজ একলা রোগী,
পারবে না কেউ ঝাপসা রোদেও বোঝাতে আর ভুগিচুগি।
বিশেষ কিছু আমার পিছু ঘুরে ঘুরে ক্ষান্ত হলো,
লাল দিঘীতে ভীষণ শীতে আড্ডাগুলো জড়োসড়ো।
কে-ই বা আছিস, কোথায় থাকিস, জানিস তোরা,
নিপাট স্রোতের যন্ত্রণারা মুখোশ পরা।