বিনয়ের বাতাসে থামলো যে ঝড়ো আগুনের ত্রাস,
যে ত্রাস বৃষ্টির গতিপথে ছুটে ছুটে
পেরিয়ে গিয়েছে মাঝমাঠ,
আলোড়ন তুলতে যে ভুল করেনি কখনো,
শাব্দিক সঙ্কোচ ছিনিয়ে নিয়েছে যে
এক লহমায়,


সেই অমূলক, অপার্থিব, দ্বিখন্ডিত আলোর মুখোমুখি,
আমি,
এক প্রশান্ত মহাসাগরীয় যাযাবর,
সেই সাথে তুমিও,
বিষাদপ্রাসাদের রাজকন্যা।


জলপ্রপাতের দাবানলে ভস্ম হয়েছে
দুজনের যেই পথ,
সেই পথে রাজরেখা এঁকে রেখে গেছে যেই
সৃষ্টির ইতিহাস,
সেই ইতিহাসকে ডিঙ্গিয়ে কি কেউ এগোতে চাইবে?


বিধিনিষেধের সাম্প্রদায়িক বেড়াজালে বন্দী
বিদায়ের বিকেল,
যে সুমিষ্ট বিকেলে সংবাদপাঠকও হয়ে পড়ে
ম্লানমুখের অধিকারী।


চারুকলা প্রাঙ্গনে বাউলের একতারার ঐকতানে
দোদুল্যমান ভ্রমের মহল,
যে বিদগ্ধ মহলে প্রবেশ করেনি কোনো তুখোড় বিতার্কিক।


সবই নাট্যমঞ্চের ভ্রম,
ভ্রমের ভিতরে আবারও অতল গভীর মায়াভ্রম।
ভ্রমের মায়াদেবীর ছলচাতুরী তে ক্ষতবিক্ষত,
চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়েছে যেই বাস্তবতা,
সেই বাস্তবতা দিয়ে কি কখনো এই নরকপ্রাচীরে
নবজাগরণ নিয়ে আসা সম্ভব?
সম্ভব নয় আদতে।


তবুও নির্বিঘ্নের আদিখ্যেতা চর্চায় জীর্ণ আশাবাদী অদৃষ্ট
একই বাক্য বিড়বিড় করতে করতে
শেষ নিদ্রাযাপনে অদৃশ্য হয়ে যায়,
"সম্ভব হতে কতক্ষণ?"