অন্ধকারের হাতছানি,
নিয়ে যায় আমারে কালোর মাঝে।
দেখি সেখানে আঁধারের উৎসব।
আলো ডাকে ফিরতে ঘরে।
দ্বিধাগ্রস্ত আমি মধ্যম পথে,
মহুয়া পানে ব্যস্ত রই।
অযাচিত মাতাল হই।
দেখি ধুপ ছায়া জলপাই রংয়ের আচ্ছাদনে।
দাঁড়িয়ে অপেক্ষায়, কল্পিত রাস্তায়,
দেখে মনে হয় দিতে পারে সে আমারে-
এক চুমুক শরবতি জল,
করতে পারে শান্ত আমারে।
আশা নিয়ে হাঁটি কিছুদুর।
ভ্রান্ত কুহেলিকা, হই শ্রান্ত।
আবার মহুয়া পানে ব্যস্ত রই।
দুঃস্বপ্নের মতো অযাচিত মাতাল হই।
কেউ পারেনা দিতে আমারে শান্ত নদীর জল।
মনে পড়ে আধেক কথার, আধেক স্মৃতি।
আধেক গীতির অপরীতি।
ভুলতে চেয়েও পারি না,
আধো কথার ক্ষত।
জ্বলন চলে অবিরাম।
স্মরণের জানালায় অহেতুক ঠোকাঠুকি করে,
বোকা পাখিটি।
হে ধাবিত সময়-
হে বহমান সময়-
হে চিরন্তন সময়-
তোমার কাছেই আমার জিজ্ঞাসা-
তোমার আছে কি কারো কাছে দায়!