ব্যথাতুর দৃষ্টিতে বিষন্ন বৃক্ষ তরুলতা,
বিবর্ণ সজনে পাতারা; অবচেতন মনের এক পাশে,
ধিরে ধিরে ঝরে পড়ে ধরার বুকে, বাতাস শুনে তার-
অস্ফুট আর্তস্বর, ধুলি ঝর; বৈরি প্রকৃতি; কাকের তারস্বরে
ক্লান্তিহীন কা কা তপ্তপ্রহরে, চড়ুই এর আনাগোনা কমে,
বর্ষা নিয়ে আসে জলের পসড়া, আসে না সবুজ সুঘ্রাণ।
শীতল করে কই ব্যস্ত এই শহর, আধিভৌতিক থই থই অতল;
যান্ত্রিক শব্দ ভেসে আসে, বাণে জলে আসে ঢল,
কদমফুলের স্বপ্নে সকাল আসে, হলুদ করবী কাঁদে নিভৃতে বিধুর।
পথচারীদের পদচারণে কাঁপে পথ; ছুটে চলে অস্তরাগে অন্তহীন।
সংখ্যা লজ্জা হয়ে চারচাশে, ভিড়ে, ঘামে, অস্বস্থি বাড়ে।
বীজগর্ভের বোধ; নির্বোধের মতো অবোধ; দুর্দশায় পাথর শোলা হয়ে ভাসে।
আলো আঁধারের নগরে ছন্দ খুঁজে; পাওয়া যায় শুধু মৃদু বিজ্ঞ ঝিলিক,
বর্ণিল মুহূর্ত রাস্তার ঠেলা ভ্যানে, ভালো নেই গোলাপ ফুলেরা।
যুগল ফুটপাতে, পক্ষিকূল পাতার আবডালে,
তারণ ধারণে তন্ত্র, মানুষ নামের যন্ত্র, ঘাম ঝরায়, তিনচাঁকায়,
ক্লান্তিটুকু শুষে নেয় বায়োস্কপ আর জুয়ায়।
রঙ্গিন ঝালরে ধুপ, নেশায় বুঁদ, কল্পকথার অলৌকিক ধমকে,
চমকে অসহায়; পদস্খলিত; মূঢ়।
চিকন কোরাসে, আছি পাশে, ভয় নাই দুর্গম সরু দেব পাড়ি,
ধুঁকে ধুঁকে, ভুখে ভুখে, অনিবার দুঃখে,
চাই পাশে স্বসমৃদ্ধির লক্ষে, সা্ক্ষি থাকে বট বৃক্ষে;
মৃত্যু অবিচল গম্ভীর; শখের বরণ সারি সারি।
পার্কের বেঞ্চে নির্জনে; শুকনো পাতার গল্প,
ফুরিয়ে যায়, ধুলায় যায় মিশে, বনিতার হাসি চক্ষুশূল হয়ে ভাসে,
নিষাচের রোষে রুপসীর রুপ সুধা ক্ষুধার জাল বুনে মাকড়।
আকর শক্ত পরগাছা কর্ষে, গর্জে গর্জে আস্ফালন বর্ষে।
তত্ত্বগুলো নিষ্ফল লম্ফঝম্প ত্রাহি ত্রাহি স্বরে; শেষাঙ্কে
টুটি চেপে ধরে তিরস্কার নিজেই নিজেরে।
ও পাড়ায় তবু কৃষ্ণচূড়া ফুটে দলে দলে,
চোখের আননে কাঠবেলি ফুলের শুভ্রচাঁদর;
স্নিগ্ধ ছায়া ফেলে, ছুয়ে যায় মন স্বপ্নের আদলে।