রাত্রিকে আপন করে নেওয়ার পর সুখ এলো,
সূক্ষ্ম সুখ, চিরচির করে নিরেট সুখ, কয়েক মুহূর্ত।
তারপর বারাবরের মতো তীক্ষ্ম অনুশোচনা।
শেষতক জয়ের জোরে মানে বর্গীয় জ’এর জোরে
সকল অনুশোচনা ছাপিয়ে দিয়াশলাই এগিয়ে এলো
বাক্সবন্দি প্রতিভা নিয়ে- নিকোটিনিক সুখ দিতে।
নিমপাতায় ছেঁকে এলো গুম বাতাস- ঘাম শুকালো।
আর ঘুমের বড়ি নিয়ে এলো ঘুম - এলোপাথাড়ি ঘুম।
এই সকল ঘুমে সাধারণত স্বপ্ন আসে না
দুঃস্বপ্নও আসে না। কিন্তু আমার এসে গেলো-
হাড্ডি খিজির- চেংটুসহ চিলেকোঠার সেপাই থেকে
আরো অনেকে- শুধু রঞ্জু মানে ওসমান এলো না।
সবাই গলা ফাটিয়ে জ’বা জ’বা বলে চিৎকার করছে।
আমি ধান ক্ষেত পেরিয়ে জ'এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি-
জ'এর যতই কাছে যাই-
জ'বা থেকে ‘জয় বাংলা’ ততই স্পষ্ট হয়।
ঘুম ভাঙলে টের পাই- বিছানায় উড়াউড়ি করেছে-
মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়ার- এ স্বাধীন দেশটা কার?


১০/০৮/২০১৮
আমবাগান, মগবাজার