শুনশান রাতে বিষাদের আগমনী
বাজে নগরীর বুক চৌচির করা ধ্বনি
অনুভূতি মিশে সুদূর পথের ধারে
কোন পথিকের অগোচরে
তার নির্ঘুম পায়ের গুঞ্জনে রাত থামে
কুয়াশার বেশে অসীম আধার নামে
সে হেটে চলে তার একা পৃথিবীর পাহারায়
আর শীত এসে পরে নগরীর রাস্তায়


খালি পায়ে রাতের পথিক ধীরে চলে
মৃদু আলোর ল্যাম্পপোস্টের তলে
সে আলো আনে তৃপ্তির ঘরে ভাটা
সে আলো এখন নিরস পথের কাটা
সে আলো ঘোর আধারের সাথে হারে
সে আলোয় শুধু হিম তীব্রতা টুকু বাড়ে
নীরব চুপিসারে...
এ আলোয় রাত পথিকের পায়ের চিহ্ন মুছে যায়
আর শীত এসে পরে নগরীর রাস্তায়


পথিক দ্রোহে রাতের ভেঙে পরে শৃঙ্খলা
তবু নিশ্চুপ-অবসাদে পথচলা
যত বিষাদ গল্প ঘুরপাক খায় মগজে
লেখা যাবে কোন বাজিমাত করা কাগজে
যে গল্প এখনো থাকে অপুর্ণ
যে গল্প আনন্দ ধ্বনি শূন্য
সে গল্প রাত পথিকের কাঁপা হাত ধরে ঝরে যায়
আর শীত এসে পরে নগরীর রাস্তায়


বিষাদের ধ্বনি সেই পথিকের সাথে
জমাট বাধে হিম রাতে
এ হিম কর্কশ, এ হিম অবশ দেহের ক্ষত
এ হিম দুঃস্বপ্ন, এ হিম অপ্রিয় জিভের মত
এ হিম গায়ে ভর করে গতিরোধ করে রাতের
পথিকের মুমূর্ষু পা-হাতের
শুষে নেয় প্রাণ শেষ তলানি অবধি
উপহার দেয় কঠোর উপলব্ধি
এ হিম গায়ে কাটা দিয়ে নিথরতা বেয়ে নেমে যায়
আর শীত এসে পরে নগরীর রাস্তায়


ঘোলাট আধারে চারিপাশ যায় ভেসে
খেয়াল আবার সম্মুখে থাকে কিসে?
ভারি কুয়াশারা থাকে মিশে তার সব ক্ষোভে
তৃপ্তির সুখ, শান্তি প্রাপ্তি লোভে
কিন্তু কুয়াশার মাঝে শত নিরাশারা ফের দেখা পায়
সবে রাত পথিকের দরবারে এসে বসে যায়
আজ ঘন কুয়াশা নাকি টলমলে চোখ বোঝা দায়
আর শীত এসে পরে নগরীর রাস্তায়


নীরবতা যত রাত পথিকের চোখে
নির্জনতার গতিহীন অপলকে
একমনে থাকা ভীষণ প্রতীক্ষায়
কখনো যদি কুয়াশারা কেটে যায়!
আর অপরাধী শ্বাস বাতাসে হারায়
বিষাদের দীর্ঘশ্বাস...
যে শ্বাস নিংড়ে বেরোয় কষ্ট
যে শ্বাস প্রতিধ্বনির চে' স্পষ্ট
সে শ্বাস এখন বহুদুর থেকে দেখা যায়
আর শীত এসে পরে নগরীর রাস্তায়